রোদের তাপ ও গরম বাতাস থেকে রক্ষা পেতে মানুষ তাদের বাড়ি ও গাড়িতে এসি ব্যবহার করেন। অফিসেও এসি থাকা সাধারণ ব্যাপার। এসির ঠান্ডা বাতাস শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং শরীরকে সতেজ রাখে। কিন্তু, এয়ার কন্ডিশনারযুক্ত ঘর থেকে সরাসরি রোদে বেরোলে, আপনি অজান্তেই আপনার স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন। এসি থেকে বেরিয়ে সরাসরি রোদে যাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের কি কি ক্ষতি হয়, দেখে নিন।
এসি রুমের ঠান্ডা তাপমাত্রা এবং বাইরের উত্তাপের মধ্যে পার্থক্য শরীরকে আঘাত করে। এর ফলে ব্যক্তির হার্টবিট এবং রক্তচাপে হঠাৎ পরিবর্তন হতে পারে, যা হৃদরোগীদের জন্য বিপজ্জনক।
এয়ার কন্ডিশনারযুক্ত ঘরে থাকার সময় শরীরের জলের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বাইরে রোদে বেরোলে, শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়। এতে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ব্যক্তি যখন ডিহাইড্রেশনে ভোগে, তখন মাথাব্যথা, ক্লান্তি এবং মাথা ঘোরার মতো লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।
ঠান্ডা পরিবেশ থেকে হঠাৎ গরম পরিবেশে যাওয়া নাক ও গলার ঝিল্লির উপর প্রভাব ফেলে। এতে সর্দি, কাশি বা গলা ব্যথা হতে পারে। এটি অ্যালার্জি বা অ্যাজমায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।

এয়ার কন্ডিশনারের শুষ্ক বাতাস এবং রোদের তীব্র আলো, ইউভি রশ্মির সমন্বয়ে ত্বক শুষ্ক ও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এতে রোদের তাপের প্রভাব, ত্বকের জ্বালা বা অ্যালার্জি হতে পারে।
এসির শুষ্ক বাতাস এবং রোদের তীব্র আলো চোখে শুষ্কতা, জ্বালা বা চোখ লাল হওয়ার কারণ হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এমন হলে চোখের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে।তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন পেশীতে ক্র্যাম্প (spasm) বা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যারা শারীরিক কার্যকলাপ কম করেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।তাই এসি রুম থেকে বেরোনোর আগে সাবধান হন। নাহলে বিপদ হতে পারে।