ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিয়ো অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গেও এসেছিল জ্যোতি। গত বছর ২৬ অগস্টে সেই ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছিল জ্যোতির চ্যানেলে। তাতে দাবি করেছিল, ভুটান যাওয়ার জন্য দিল্লি থেকে বিমানে বাগডোগরায় এসেছিল। ছিল শিলিগুড়ির একটি হোটেলেও। পরবর্তীতে শিলিগুড়ির একটি জনপ্রিয় মল এবং হংকং মার্কেটেও ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল জ্যোতিকে।
কলকাতায় এসেছিল জ্যোতি। গত বছর বাংলাদেশ সফরের একাধিক ভিডিয়ো ইউটিউবে আপলোড করেছিল। সেই ভিডিয়ো অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছিল। ট্রেনে করে ঢাকা থেকে খুলনা গিয়েছিল। ঘুরেছিল সুন্দরবনেও। তারপর ফেরার সময় ঢাকা থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ধরে কলকাতায় এসেছিল। কলকাতায় কী করেছিল, সে বিষয়ে নিজের চ্য়ানেলে বিস্তারিত কিছু জানায়নি জ্যোতি।
তাছাড়াও ভারতের অন্যান্য প্রান্তেও ঘুরেছে জ্যোতি। তার ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিয়ো অনুযায়ী, মানালি, লাহুল-স্পিতি, শ্রীনগর, কাটরা, অযোধ্যার রাম মন্দির, নাগাল্যান্ড, বেনারস, কেরল, কর্ণাটক, আমদাবাদ, মুম্বই, বৃন্দাবন, উটির মতো জায়গায় গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, চারধাম যাত্রায় গিয়েছিল বলে দাবি করেও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিয়ো আপলোড করেছিল জ্যোতি।

জ্যোতির ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানে সফরের একাধিক ভিডিয়োও আছে। ‘ইন্ডিয়ান গার্ল ইন পাকিস্তান’, ‘ইন্ডিয়ান গার্ল এক্সপ্লোরিং লাহোর’, ‘ইন্ডিয়ান গার্ল অ্যাট কাটাস রাজ টেম্পল’, ‘ইন্ডিয়ান গার্ল রাইড লাক্সারি বাস ইন পাকিস্তান’ নামে বিভিন্ন ভিডিয়ো পোস্ট করেছিল জ্যোতি। ইউটিউবে তার অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৪৮৭টি ভিডিয়ো আপলোড হয়েছিল।অভিযোগ উঠেছে যে ২০২৩ সালে পাকিস্তানি হাইকমিশনের কর্মী দানিশের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল জ্যোতির। পরবর্তীতে পাকিস্তানে গিয়ে দানিশের লোকের সঙ্গে দেখা করেছিল। সেই লোকই পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার লোকজনের সঙ্গে জ্যোতির দেখা করিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তাদের সঙ্গে হোয়্যাটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত।