ওড়িশার টুরিস্ট স্পটে তরুণীকে ‘গণধর্ষণ’! বেঁধে রাখা হল বন্ধুকে

Spread the love

ওড়িশার সমুদ্র সৈকতে বন্ধুর সামনেই কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ওড়িশার গঞ্জাম জেলার গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে। জানা গিয়েছে, বন্ধুর সঙ্গে গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। বন্ধুকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে তার সামনেই ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় রাজা উৎসব উপলক্ষে ওই তরুণী (২০) ও তাঁর বন্ধু গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে যান। এক নির্জন স্থানে বসেছিলেন তাঁরা। সেই সময় তিনটি বাইকে করে প্রায় ১০ জন যুবক সেখানে এসে তাঁদের ছবি তুলতে শুরু করে। তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়, সেই ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এরপর তারা তরুণীর পুরুষ বন্ধুর ওপর চড়াও হয়ে তাঁকে বেঁধে ফেলে এবং ওই যুবতীকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে টেনে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে তিনজন মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে। ওই তরুণী এবং তাঁর সঙ্গী পরে গোপালপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।

বেরহামপুরের এসপি সারবণা বিবেক এম বলেন, ‘এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। ধৃতরা সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমরা অন্যদের জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছি না।’

এসপি আরও জানিয়েছেন, ‘ওই তরুণী এবং সন্দেহভাজনদের মেডিক্যাল পরীক্ষা চলছে।’ তবে ওই তরুণীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই খবর হাসপাতাল সূত্রে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে অন্য অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমগ্র ওড়িশায়। প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।

অন্যদিকে, ওড়িশার উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রভাতী পারিদা এই ঘটনার জোরদার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এক্স বার্তায় তিনি বলেন, গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার বিষয়ে এসপির সঙ্গে কথা বলেছি এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *