‘ওরা গুলি চালালে আমরা গোলা ছুড়ব’

Spread the love

‘ওখান থেকে গুলি চালানো হলে এখান থেকে গোলা চলবে’ – পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই ভাষায় স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হল। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ যত এগিয়েছে, তত পাকিস্তান দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। হাঁটু গেঁড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে ভারতের সামনে। প্রতিটি পর্যায়ে ভারতের কাছে পাকিস্তান অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানিয়েছেন বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা।

সূত্রের কথায়, ‘প্রতিটি রাউন্ডে পাকিস্তানের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে উঠেছে। লড়াইয়ের প্রতিটি রাউন্ডে ওরা (পাকিস্তান) ভারতের কাছে পরাজিত হয়েছে। আমরা পাকিস্তানি বায়ুঘাঁটিতে যে পালটা আক্রমণ চালিয়েছিলাম, তারপরই ওরা বুঝতে পেরেছিল যে ভারত ওদের স্তরে পড়ে না। ভারত একটা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিল। বার্তাটা হল যে কেউ সুরক্ষিত নয়, আর সেটাই নিউ নর্ম্যাল।’

‘নরকের আগুন’-র গ্রাসে চলে গিয়েছিল পাকিস্তান

আর ‘নিউ নর্ম্যাল’ যে কতটা মারাত্মক ছিল, তা নিয়েও মুখ খুলেছেন বিষয়টির অবহিত আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, ইসলামাবাদ ভারতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পরে শনিবার (ইংরেজি মতে) পাকিস্তানকে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। ‘নরকের আগুন’-র গ্রাসে চলে গিয়েছিল পাকিস্তান। একেবারে নিখুঁতভাবে পাকিস্তানের আটটি সামরিক প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করা হয়েছিল। পঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খান বায়ুঘাঁটির রানওয়েকে পুরোপুরি ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

ওই মহলের মতে, পাকিস্তানের একের পর এক বায়ুঘাঁটিতে ভারত যে প্রত্যাঘাত করেছে, সেটাই ‘অপারেশন সিঁদুর’-র টার্নিং পয়েন্ট ছিল। তারপরই সংঘর্ষবিরতির চুক্তি নিয়ে পাকিস্তান থেকে ফোন আসে। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা বলেছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। আমরা এখন নিউ নর্ম্যাল। পুরো বিশ্বকে সেটা মানতেই হবে। পাকিস্তানকে এটা মানতেই হবে। আগের মতো আর চলবে না।’

মিট্টি মে মিলা দেঙ্গে, জঙ্গিদের মৃত্যুর কাউন্টডাউন

যদিও প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে ভারতের যে নিশানা করার কোনও পরিকল্পনা ছিল না, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জঙ্গিদের নিশানা করেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে জঙ্গি শিবিরকে ‘মাটিতে মিশিয়ে দেব (মিট্টি মে মিলা দেঙ্গে)।’ আর সেইমতো ভাওয়ালপুর, মুরিদকে এবং মুজফ্ফরাবাদের জঙ্গি শিবিরকে মাটিয়ে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্রেফ ধসিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক জঙ্গি শিবিরকে।

জইশের জন্যই সবথেকে বিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার ভারতের

পুরো ঘটনার আরও ব্যাখ্যা করে বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা বলেছেন, ‘(পাকিস্তানের) ভাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরের উপরে সবথেকে ভয়ংকর আক্রমণ চালানো হয়েছে। সবথেকে বিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে সেখানেই। জইশ-ই-মহম্মদকে তৈরি করেছিল আইএসআই। আর (সেই জইশের সদর দফতরকে ধ্বংস করে) ভারত স্পষ্ট বার্তা দিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *