‘ভারতে ফিরে দলীয় সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলব।’ কংগ্রেসের অন্দরে বিতর্ক হতেই মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সাংসদ শশী থারুর। বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের পর্দা ফাঁস করতে সর্বদলের প্রতিনিধিরা বিদেশ সফর করছেন। যেখানে কংগ্রেসের শশী থারুর থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসিরা রয়েছেন। বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের মুখোশ যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা টেনে খুলছেন, সেই সময় কংগ্রেসের অভ্যন্তরেই শশী থারুরকে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে।
এই মুহূর্তে শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধিদল ব্রজিলে পৌঁছেছে। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের অন্দরে দ্বন্ধ নিয়ে থারুর বলেন, ‘আমি মনে করি এখন আমাদের লক্ষ্যের উপর মনোনিবেশ করার সময়। নিঃসন্দেহে, একটি সমৃদ্ধ গণতন্ত্রে, মন্তব্য এবং সমালোচনা অবশ্যই থাকবে। কিন্তু এই মুহুর্তে আমরা সেগুলি নিয়ে বসে থাকতে পারি না।’ এরপরেই তিনি বলেন, ‘যখন আমরা ভারতে ফিরে আসব, নিঃসন্দেহে আমাদের সহকর্মী, সমালোচক, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাব। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা যে সব দেশে যাচ্ছি এবং সেখানকার মানুষের কাছে যে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি, তার উপর মনোযোগ দিচ্ছি।’
এর আগে পানামায় একটি বক্তৃতায় শশী থারুর বলেছিলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলিতে যা পরিবর্তিত হয়েছে তা হল,জঙ্গিরা এখন বুঝতে পেরেছে যে তাদের একটি মূল্য দিতে হবে, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।’ তিনি ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে উরি সার্জিকাল স্ট্রাইকের উল্লেখ করে বলেন, এটি ছিল প্রথমবার যখন ভারত জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে এলওসি অতিক্রম করেছিল।থারুর আরও উল্লেখ করেন যে, কার্গিল যুদ্ধের সময়ও ভারত এলওসি অতিক্রম করেনি, তবে উরি এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটি করেছে।অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসায় শশীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন। অপারেশন সিঁদুর চালাতেই হত।’

এরপরেই কংগ্রেস নেতা উদিত রাজ বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর এখন বিজেপির সুপার মুখপাত্রে পরিণত হয়েছেন। বিজেপি নেতারা যা বলছেন না, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং সরকারের পক্ষে সেই কথা বলছেন শশী থারুর।’ আবার আরেক সিনিয়র নেতা পবন খেরা মনে করিয়ে দিয়েছেন নিজের ‘দ্য প্যারাডক্সিক্যাল প্রাইম মিনিস্টার’ বইতেই শশী দাবি করেছিলেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক কংগ্রেস আমলেও হয়েছিল কিন্তু সেটা নির্বাচনী ফায়দা তুলতে ব্যবহার করা হয়নি।যদিও এসব সমালোচনাকে পাত্তা দিতে চাইছেন না বলেই জানাচ্ছেন শশী থারুর। ইতিমধ্যেই তিনি এক্স হ্যান্ডলে জানিয়ে দিয়েছেন, সমালোচনা ও ট্রোলিংকে তিনি ‘স্বাগত’ জানাচ্ছেন। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।