কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হয়েছেন মহম্মদ আসাদউদ্দিন

Spread the love

মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ছেলে মহম্মদ আসাদউদ্দিন তার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফ থেকে সদ্য তেলেঙ্গানা কংগ্রেসে নিযুক্ত ৬৯ জন সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে তিনি একজন।

আসাদউদ্দিন রঞ্জি ট্রফির ম্যাচেও খেলেছেন এবং এখন তিনি বাবার মতো রাজনীতির ময়দানে নামলেন। এই নিয়োগটি এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন হায়দরাবাদের জুবিলি হিলস আসনটি খালি হয়ে যায়, কারণ স্থানীয় বিধায়ক মগান্তি গোপীনের রবিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। এর ফলে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, আসন্ন উপনির্বাচনে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসেবে আসাদউদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে আজহারউদ্দিন জুবিলি হিলস থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন এবং তিনি ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মগান্তির কাছে ১৬,৩৩৭ ভোটে পরাজিত হন, যদিও শুরুতে তিনি এগিয়ে ছিলেন।

‘দ্য প্রিন্ট’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসাদউদ্দিন বলেন, ‘আমি জানি না ভবিষ্যতে কী আছে। আমার বাবা এখনও রাজনীতিতে সক্রিয়। দেখা যাক কী হয়।’ তিনি ২০২৩ সালের নির্বাচনের সময় থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত এবং তখন বাবার প্রচার অভিযানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন, র‍্যালি, মহল্লা সভা ইত্যাদি আয়োজন করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা, সেই হতাশাজনক পরাজয়ের পরেও আমি জুবিলি হিলসের মানুষের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে যুক্ত থেকেছি এবং তাদের সমস্যা নিয়ে কাজ করে গেছি।’

তিনি অতীতে তেলেঙ্গানা যুব কংগ্রেসের স্পোর্টস সেলের সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি আইন বিষয়ে স্নাতক এবং বিখ্যাত টেনিস খেলোয়াড় সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জাকে বিয়ে করেছেন।

মঙ্গলবার, আজহারউদ্দিন এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ লেখেন, ‘আমার ছেলে মহম্মদ আসাদউদ্দিন তেলেঙ্গানা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে জনজীবনে প্রবেশ করায় এটি আমার জন্য গর্বের ও আবেগের মুহূর্ত।’

তিনি আরও জানান, ‘আমি কাছ থেকে দেখেছি তার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা, সেবার প্রতি তার আগ্রহ এবং আন্তরিকতা। আশা করি সে মাটিতে পা রেখে চলবে, লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে না এবং সঠিক মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হবে। এই দায়িত্বে তার জন্য রইল আমার শুভকামনা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *