ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর এবার শুভমন গিলের অধিনায়কত্বের মধ্যেই খুঁজে পেলেন কপিল দেব, রাহুল দ্রাবিড়দের ছায়া। আপাতত ভারতীয় দল সিরিজে পিছিয়ে রয়েছে। এই সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের চতুর্থ টেস্ট। ম্যাঞ্চেস্টারে টিম ইন্ডিয়া চাইবে সমতা ফেরাতে। একের পর এক ভারতীয় পেসাররা চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায়, এই ম্যাচে সম্ভবত বুমরাহকে খেলাতেই হবে গম্ভীরদের।
এতদিন পর্যন্ত ভারতীয় দল তিনবার ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছে। তিনবার ভারতের অধিনায়ক ছিলেন কপিল দেব, অজিত ওয়াদেকর এবং রাহুল দ্রাবিড়। ১৯৭১, ১৯৮৬ এবং ২০০৭ সালে ভারত ইংল্যান্ডে গিয়ে তাঁদেরই হারিয়ে এসেছিল। শুভমন গিলের ধৈর্যশীল ক্যাপ্টেন্সি দেখে গাভাসকরও তাঁদের সঙ্গে তুলনা টানছেন গিলের।
তিন প্রাক্তন অধিনায়কই যেহেতু অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় ক্যাপ্টেন্সি করতেন, তাই গাভাসকর মনে করছেন গিলের মধ্যেও মশলা রয়েছে এই প্রাক্তন অধিনায়কদের মতোই হয়ে ওঠার। গাভাসকর বলছেন, ‘একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, ইংল্যান্ডে তিনবার ভারতীয় দল জিতেছে। ১৯৭১ সালে অজিত ওয়াদেকর, ১৯৮৬ সালে কপিল দেব এবং ২০০৭ সালে অধিনায়ক ছিল রাহুল দ্রাবিড়। তিনজন অধিনায়কই ছিল অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার ’।
রোহিত শর্মা টেস্ট অবসর নেওয়ার পর তাঁর পরিবর্তে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হন এই ফরম্যাটে শুভমন গিল। সিরিজ শুরুর আগে গিলের ব্যাটিং টেকনিক নিয়ে অনেক কথা উঠেছিল তাঁকে নিয়ে। কিন্তু এরপর ব্যাটেই গিল জবাব দিয়েছেন সব সমালোচনার। শতরান, দ্বিশতরান করে একাই ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইন আপকে প্রথম দুই টেস্টে যেন টেনেছেন গিল।

যদিও গিল বার্মিংহ্যাম টেস্টে ভালোই ক্যাপ্টেন্সি করে দলকে জেতান। গাভাসকর তা দেখেই বলছেন, ‘এই তিনজন অধিনায়ক যে উচ্ছাস দেখাতেন না, সেটা নয়। ওরা ঠান্ডা মাথায় খেলাও পরিচালনা করতেন। বার্মিংহ্যামে গিলকে দেখে ওই তিন অধিনায়কের কথাই আমার মনে পড়ে যাচ্ছিল। দুর্দান্ত শতরতান, দ্বিশতরানও করেছে। বোলাররা ভালো বল করলে, গিল তাঁদের পাশেও দাঁড়াচ্ছে ভালোভাবে ’।