ভারতের ‘শক্তির’ প্রতীক হয়ে উঠেছেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। সেই কর্নেল কুরেশিকে নিয়েই বিতর্কিত মন্তব্য করে রোষের মুখে পড়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী কুমার বিজয় শাহ। চাপের মুখে সেই কল্যাণ এবার ক্ষমা চাইবেন বলে দাবি করেছেন তিনি। এর আগে এই বিজেপি নেতার পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় কংগ্রেস। এমনকী মন্ত্রীর বাড়ির বাড়ি কালি লেপে দিয়ে আসে কংগ্রেস কর্মীরা।
এই আবহে বিজেপির মন্ত্রী বলেন, ‘বোন সোফিয়া জাতি ও ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে ভারতের গৌরব বয়ে এনেছেন। তিনি আমাদের নিজের বোনের চেয়েও বেশি সম্মানিত। জাতির প্রতি তাঁর সেবার জন্য আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই। আমরা স্বপ্নেও তাকে অপমান করার কথা ভাবতে পারি না। তবুও, যদি আমার কথা সমাজ ও ধর্মকে আঘাত করে থাকে, তাহলে আমি দশবার ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত।’
এর আগে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মোদী বন্দনা করতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বলেন, ‘মোদীজি সমাজের জন্য লড়াই করছেন। যারা আমাদের মেয়েদের বিধবা করেছিল, আমরা তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য তাদের মধ্যে থেকেই এক বোনকে পাঠিয়েছিলাম!’ তাঁর এই মন্তব্য থেকে ধরে নেওয়া হয়, এখানে তিনি কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকেই ‘জঙ্গিদের বোন’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।

মন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, ‘এখন মোদীজি তো আর একই কাজ করতে পারবেন না। তাই তিনি তাদেরই সমাজের এক বোনকে পাঠিয়েছিলেন। যাতে (বোঝা যায়) তোমরা যদি আমাদের বোনেদের বিধবা করো, (তাহলে) তোমাদেরই এক বোন আসবে তোমাদের পোশাক খুলে নিতে। ওঁরা (কর্নেল সোফিয়া কুরেশিরা) আসলে আমাদেরই বোন। এবং ওঁরাও ভারতের সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে একত্রে বীর বিক্রমে সংগ্রাম করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদী হামলার ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ নিয়েছেন।’