কলকাতায় গান গাইতে এসে মৃত্যু! ‘এমনি তো কারও হার্ট অ্যাটাক হয় না…’

Spread the love

বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও তাঁর গায়িকির জন্য সুপরিচিত। তবে বর্তমানে কিংবদন্তি গায়ক বেশি চর্চায় আসেন তাঁর আলটপকা মন্তব্যের কারণে। এবার যেমন প্রয়াত গায়ক কেকে, অর্থাৎ কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের মৃত্যু নিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করলেন অভিজিৎ।

সম্প্রতি রেড এফএম পডকাস্টে হাজির ছিলেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। যেখানে নিজের গানের কেরিয়ার নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন অভিজিৎ এবং নিজের স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে, বলিউডের অনেক গোপন কথা ফাঁস করেন। অভিজিৎকে যখন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু গায়ক কেকে-র মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন বেশ অবাক করা দাবি করে বসলেন।

অভিজিৎ বলেন, ‘কেকে খুব ওয়ান টু ওয়ান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি খুব রিজার্ভ ছিলেন। কারও সঙ্গে তাড়াতাড়ি মিশে যেতে পারতেন না।’ অভিজিৎ আরও বলেন, ‘আমরা যখন দেখা করতাম, তখন অনেক কথা বলতাম। একটা সময় আমরা প্রায়ই দেখা করতে শুরু করি। প্রায়ই ফ্লাইটে আমাদের দেখা হত। আমার কাশি ছিল, তিনি আমাকে তাঁর ডাক্তারকে দেখাতে বলেছিলেন। আমি চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছিলাম।’

অভিজিৎ এই পডকাস্টে আরও বলেন, ‘কেকে-র সঙ্গে অনেক ধোকা হয়েছে। কেকে-র কারণে যার মিউজিক কাজ করত, সে ভিতরে ভিতরে আসলে হিংসে করত। তিনিই ছিলেন একমাত্র ‘তোতলানো’ সঙ্গীত পরিচালক। তিনি কথা বলতে পারতেন না, গান গাইতে পারতেন না। কে কে-কে ছেড়ে, তিনি বিদেশ থেকে আমদানি শুরু করেছিলেন। যখন পাকিস্তানিদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তখন সে দুবাই গিয়ে রেকর্ড করত।’

কেকে-র মৃত্যু প্রসঙ্গ টেনে এরপর অভিজিৎ আরও বলেন, ‘কেকে এই সমস্ত বিষয়ে খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি খুব দুঃখ পেয়েছিলেন। আমি জানি। এমনিতে তো আর কারও হার্ট অ্যাটাক হয় না। কেকে যে গানগুলি গেয়েছিলেন সেগুলি সম্ভবত আমিও গাইতে পারতাম। ও তোকে (সেই নাম না নেওয়া পরিচালক) বানিয়ে গিয়েছে। এই লোকেরা নিজের বাবা-মা এবং পরিবারের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে। এই মানুষগুলো এমনই বিশ্বাসঘাতক।’ তবে গোটা কথোপকথনে কোনও সঙ্গীত পরিচালকের নাম করেননি অভিজিৎ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *