বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বৃহত্তর কলকাতা- বুধবার রাজ্যের ৩১টি জায়গায় মক ড্রিল হতে চলেছে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাত যখন চরমে উঠেছে, সেই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার ভারতের ২৭টি রাজ্যের পাশাপাশি আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৫৯টি জায়গায় মক ড্রিল হবে। যে তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের ৩১টি জায়গাও আছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দেশের সাধারণ মানুষদের কী কী কাজ করতে হবে, সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে কোন কোন কাজ করা যাবে না, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ মানুষদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গের কোন ৩১ জায়গায় মক ড্রিল হবে?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তালিকা অনুযায়ী, ‘সিভিল ডিফেন্স’ জেলা হিসেবে চিহ্নিত ২৫৯টি জায়গায় মক ড্রিল হবে। ২০১০ সালে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, তাতে মোট তিনটি ক্যাটেগরিতে বিভক্ত করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের কোনও জায়গায় ‘ক্যাটেগরি ১’-র মধ্যে নেই। ২৪টি জায়গা আছে ‘ক্যাটেগরি ২’-র আওতায়। আর ‘ক্যাটেগরি ৩’-র আওতায় আছে সাতটি জায়গা। প্রতিটিতেই মক ড্রিল করা হবে। যে তালিকায় যেমন বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা আছে, তেমনই রয়েছে কলকাতা।
১) কোচবিহার।
২) দার্জিলিং।
৩) জলপাইগুড়ি।
৪) মালদা।
৫) শিলিগুড়ি।
৬) বৃহত্তর কলকাতা।

৭) দুর্গাপুর।
৮) হলদিয়া।
৯) হাসিমারা।
১০) খড়্গপুর।
১১) বার্নপুর-আসানসোল।
১২) ফরাক্কা-খেজুরিয়াঘাট।
১৩) চিত্তরঞ্জন।
১৪) বালুরঘাট।
১৫) আলিপুরদুয়ার।
১৬) রায়গঞ্জ।
১৭) ইসলামপুর।
১৮) দিনহাটা।
১৯) মেখলিগঞ্জ।
২০) মাথাভাঙা।
২১) কালিম্পং।
২২) জলঢাকা।
২৩) কার্শিয়াং।
২৪) কোলাঘাট।
২৫) বর্ধমান।
২৬) বীরভূম।
২৭) পূর্ব মেদিনীপুর।
২৮) পশ্চিম মেদিনীপুর।
২৯) হাওড়া।
৩০) হুগলি।
৩১) মুর্শিদাবাদ।