কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছে পাঠানো এক ইমেইল বার্তায়, সেখানকার মার্কিন দূতাবাস পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য না দিয়েই মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘নানা সতর্কতার কারণে’ এই পরামর্শ দেয়া হয়েছে। খবর আল জাজিরা’র।
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর তেহরানের ‘কঠিন জবাব’ দেয়ার হুঁশিয়ারির মধ্যেই এ তথ্য সামনে এলো। এছাড়া ইরান মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থাকা মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালাতে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
তবে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, বেশ কয়েকটি দূতাবাস তাদের নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বা নির্দিষ্ট স্থান এড়িয়ে চলার জন্য যে পরামর্শ জারি করেছে, তা ‘নির্দিষ্ট হুমকির অস্তিত্বকে প্রতিফলিত করে না’।
কাতার নিউজ এজেন্সিকে দেয়া এক বিবৃতিতে মাজেদ আল-আনসারী বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘কাতার তার নাগরিক, বাসিন্দা এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।’
এদিকে সিরিয়ায় একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৩ জুন) ‘ওয়াকিবহাল সূত্র’ এ তথ্য জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইরানের আধা-সরকারি মেহের নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে।
মেহর নিউজের প্রতিবেদন মতে, সূত্রগুলো জানিয়েছে, সিরিয়ার পশ্চিম হাসাকা প্রদেশের একটি এলাকায় অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানো হয়েছে।

বলা হচ্ছে, এই হামলার পর প্রধান প্রবেশপথে (মার্কিন সামরিক ঘাঁটির) কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়।
তবে কারা এ হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এর আগে এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনা করছে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো।