হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রতিক্রিয়ায় অসন্তুষ্ট হয়ে কাতার থেকে প্রতিনিধি দল ফিরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব নিয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়া দেখার পর বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এ পদক্ষেপ নিয়েছে দুই দেশ।প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস আন্তরিক নয় বলে অভিযোগ করেছেন।
উইটকফ বলেন, মধ্যস্থতাকারী অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু হামাসকে ‘সমন্বয় করে চলতে বা আন্তরিকতা দেখাতে ইচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে না’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন জিম্মিদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার বিকল্প পথগুলো দেখব এবং গাজার লোকজনের জন্য আরও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করবো।’
এই পরিস্থিতির মধ্যেই যুদ্ধবিরতির নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলন, যুদ্ধ থামাতে চুক্তি করতে চায় ইসরাইল, তবে সেটা যেন কোনোভাবেই দুর্বলতা হিসেবে না দেখে হামাস।
স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধবন্ধের পাশাপাশি ত্রাণ প্রবেশ ও উপত্যকা থেকে সেনাবাহিনি প্রত্যাহারের প্রস্তাব জানায়। হামাসের সর্বশেষ প্রতিক্রিয়ার পরই ইসরাইলি আলোচনা দলকে দেশে ফেরার জন্য ডাকা হয়েছে বলে জানায় নেতানিয়াহুর দফতর।
এদিকে, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দেয়ার জন্য জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সীমান্তে আটকে থাকা কয়েক লাখ টন খাদ্য ও ওষুধ অবিলম্বে প্রবেশ করতে না দিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। আন্তর্জাতিক মহলের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়েও উদ্বেগ জানায় তার প্রশাসন।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও। গাজায় হত্যাযজ্ঞ থামাতে কী করা যায় তা নিয়ে তিনি ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন জানা গেছে। স্টারমার বলছেন, পরিস্থিতি এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে মানবতা রক্ষা করাও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরইমধ্যে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স। সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া বার্তায় তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তির অঙ্গীকারে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে গাজায় যুদ্ধ থামানো, মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।