কানাডার ভোটে প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে কারা?

Spread the love

ট্রুডো জমানার পর কার্নি আমলে এবার সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার ভোটপর্ব শুরু কানাডায়। কানাডার সংসদের ৩৪৩ আসনের মধ্যে ১৭২ আসন প্রয়োজন সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্টি হওয়ার জন্য। এই ভোট যুদ্ধে একদিকে রয়েছেন লিবারাল পার্টির মার্ক কার্নি, অন্যদিকে, কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পলিয়েভেরে। এদিকে, কানাডায় যখন নিজের প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার ভোটপর্ব ঘিরে পারদ চড়ছে তখনই ফের একবার শুল্ক ইস্যুতে ‘অফার’ দিয়ে রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সঙ্গে অফারের থালায় রাখলেন, ‘যদি কানাডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ তম স্টেট হয়ে’ ওঠার আহ্বান প্রসঙ্গ!

কানাডার ভোটের প্রাথমিক ট্রেন্ড:-

কানাডার এই ভোট নির্ধারণ করবে, দশক ধরে সেদেশে শাসন করা লিবারাল পার্টিই ক্ষমতায় থাকবে, নাকি আসবে বিপক্ষের কনজারভেটিভরা। কানাডার ভোট ভারতের কূটনৈতিক গতিপ্রকৃতির দিক থেকেও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষত, খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড ঘিরে দিল্লি, ওটাওয়া সম্পর্কের টানাপোড়েনের পর কানাডার তখতে কে আসে, সেদিকে তাকিয়ে দিল্লিও। এদিকে, ভোটের প্রাথমিক ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে কানাডায় লিবারালদের পক্ষেই পড়ছে ভোট। উল্লেখ্য, এই পার্টির তরফেই কার্নির আগে সেদেশে ক্ষমতায় ছিল জাস্টিন ট্রুডো সরকার। এরপর সেদেশের প্রধানমন্ত্রী হন মার্ক কার্নি। ট্রাম্পের সঙ্গে কার্নির বর্তমান সম্পর্কের সমীকরণের দিকে তাকিয়ে, এই ভোট ট্রাম্পের রাজনৈতিক অঙ্কের দিক থেকেও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

ট্রাম্পের শুল্ক অফার:-

কানাডার নির্বাচনী আবহে ট্রাম্প জানিয়ে রাখলেন তাঁর তরফে শুল্ক অফার। উল্লেখ্য, বিশ্বের নানান দেশের মতো কানাডার ওপরেও শুল্কের বোঝা চাপিয়েছে ট্রাম্প সরকার। ট্রাম্পের কাছে পাখির চোখ ‘বিগার আমেরিকা’। সেই দিক থেকে তিনি কানাডাকে আমেরিকার ৫১ তম স্টেট বানাতে মরিয়া। ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালের পোস্টে লেখেন,’এমন একজনকে নির্বাচিত করুন যাঁর শক্তি এবং প্রজ্ঞা আছে যিনি আপনার কর অর্ধেক কমিয়ে দেবেন, বিনামূল্যে আপনার সামরিক শক্তি বিশ্বের সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করবেন, আপনার গাড়ি, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, কাঠ, জ্বালানি এবং অন্যান্য সমস্ত ব্যবসার আকার চারগুণ করবেন, সঙ্গে শূন্য শুল্ক’, তবে এসবের সঙ্গে ট্রাম্প জুঁড়েছেন তাঁর শর্তের লাইন,’ যদি কানাডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম প্রিয় রাষ্ট্র হয়ে ওঠে, তাহলেই।’ ট্রাম্পের বার্তাকে সহজে নেননি কানাডার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরো। তিনি ট্রাম্পকে, কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করে দূরে থাকার কথা বলছেন। উল্লেখ্য, এর আগে, কানাডা নিয়ে ট্রাম্পের এমন বার্তার বিরোধিতা এসেছে কার্নির কণ্ঠেও। আপাতত সব পক্ষের নজর কানাডার ভোটের ফলাফলের দিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *