শহরে কারা তৈরি করছেন পাকিস্তানের পতাকা? কারা বিক্রি করছেন সেসব? কারাই বা সেই পতাকা কিনছেন? কেন কিনছেন? এবার থেকে এই সমস্ত দিকে কড়া নজর থাকবে কলকাতা পুলিশের। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের পতাকা ব্যবহার করে কেউ বা কারা যাতে অশান্তি, ঘৃণা কিংবা সাম্প্রদায়িক হিংসায় ইন্ধন জোগাতে না পারে তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
খবরে প্রকাশ, গতকাল (শনিবার – ১৭ মে, ২০২৫) কলকাতা শহরের প্রত্যেকটি থানাকে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। ওই দিন বডিগার্ড মাসিক ক্রাইম মিটিংয়ে থানাগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পাকিস্তানের পতাকা ব্যবহার করে বনগাঁয় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তেমন ঘটনা যাতে কলকাতার কোথাও না ঘটে, সেই বিষয়ে প্রত্যেকটি থানাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। কমিশনারের স্পষ্ট বক্তব্য, যাঁরা পাকিস্তানের পতাকা কিনছেন, তাঁরা কারা, কোথায় থাকেন, ওই পতাকা নিয়ে তাঁরা কী করবেন, সেই সমস্ত তথ্য এবার থেকে কলকাতা পুলিশকে দিতে হবে।

এর আগে বিভিন্ন ই-কমার্স সংস্থাগুলি কেবলমাত্র মুনাফার লোভে অনলাইনে পাকিস্তানের পতাকা বিক্রি করছিল। সেই ঘটনা নজরে আসতেই কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে চিঠি পাঠায় ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। সংগঠনের তরফে অবিলবম্বে অনলাইনে পাকিস্তানি পতাকা-সহ সেদেশের অন্য়ান্য সামগ্রী কেনাবেচা বন্ধ করার আবেদন জানানো হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে সচেতন করে কেন্দ্রীয় সরকার।