কালাজ্বর আক্রান্তের হদিশ! রোগী বাংলাদেশি নাগরিক? 

Spread the love

নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে এক ব্যক্তির শরীরে কালাজ্বর ধরা পড়ায় চিন্তায় পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তবে ওই ব্যক্তি ভারতীয় নন, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক।চিকিৎসার জন্য ভারতে এসে ওই ব্যক্তি তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে যাওয়া হয় এবং সেখানেই পরীক্ষার পর কালাজ্বর ধরা পড়ে। এই খবর পাওয়ার পরই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রতিনিধি দল। তাঁরা রোগীর সঙ্গে কথা বলেন, শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি জেলা স্বাস্থ্য দফতরও শুরু করে কড়া নজরদারি।

স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওই বাংলাদেশি নাগরিক দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তাঁর ত্বক শুকনো হয়ে আঁশের মতো হয়ে যাচ্ছিল। আগেও একাধিকবার ভারতে এসে চিকিৎসা করিয়েছেন, কিন্তু কোনও স্থায়ী উপশম মেলেনি। এবার ফের বাংলাদেশ থেকে এসে কৃষ্ণগঞ্জে আত্মীয়র বাড়িতে ওঠেন এবং স্থানীয় হাসপাতালের শরণাপন্ন হন। হাসপাতালে চিকিৎসকরা পরীক্ষার তাঁর শরীরে কালাজ্বরের জীবাণুর অস্তিত্ব খুঁজে পান। এরপর বিষয়টি জানানো হয় স্বাস্থ্য দফতরকে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে রোগীকে নজরদারিতে রাখা হয় এবং হু-র প্রতিনিধি দলও তৎক্ষণাৎ আসে কৃষ্ণগঞ্জে।জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক পরাশর পোদ্দার জানান, রোগীকে কঠোর নজরে রাখা হয়েছে। হু-র দল এসেছিল, তারাও পর্যবেক্ষণ করেছে। আপাতত কৃষ্ণগঞ্জেই তাঁর চিকিৎসা চলবে। দুই সপ্তাহ পর ওষুধ দিয়ে তাঁকে দেশে ফেরানো হবে, পরে আবার ভারতে এসে চিকিৎসা চালাতে হবে।

পাবলিক হেলথ বিভাগের আধিকারিক পৌলোমী ঘোষ জানান, কৃষ্ণগঞ্জ কালাজ্বরপ্রবণ এলাকা নয়। সেখান থেকে এমন রোগ ধরা পড়া প্রমাণ করে, নজরদারির ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো কাজ করছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালে এই পাঁচ বছরে নদিয়ায় কালাজ্বরের কোনও নতুন মামলা সামনে আসেনি। বর্তমানে শুধু ওই বাংলাদেশি রোগীকেই নয়, তাঁর সংস্পর্শে আসা অন্যদের দিকেও নজর রাখছে প্রশাসন। জেলা জুড়ে সতর্কতা জারি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *