ভারত-পাক সীমান্তে সাম্প্রতিক গোলাবর্ষণে জম্মু ও কাশ্মীরের ইবকোট গ্রামের একটি মসজিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। মসজিদটি সেই এলাকায় শুধু মুসলিমদের প্রার্থনার স্থানই নয়, বরং সামাজিক সংহতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সেই মসজিদ পাক গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্থানীয়রা গভীরভাবে শোকাহত হয়েছিলেন। গোলাবর্ষণে মসজিদের ছাদে টিন, সৌর বিদ্যুতের প্লেট ও নমাজ আদায়ের কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
পাকিস্তানিদের হামলার পর এবার ভারতীয় সেনা তৎপরতা দেখিয়েছে সেই মসজিদ নিয়ে। স্থানীয় জনগণকে সাহায্য করেছে সেনা। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেনা সদস্যরা মসজিদের ছাদে নতুন টিন বিছিয়ে দেন। নতুন সোলার প্যানেলও লাগিয়ে দেয় সেনা। প্রার্থনা কক্ষের জন্য নতুন মাদুরের ব্যবস্থা করা হয় সেনার তরফ থেকে। মেরামত কাজ শেষ হলে এই মসজিদে আবার গণনামাজ ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ড শুরু হবে।
এই আবহে ইবকোটের বাসিন্দারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের কথায়, আমাদের কাছে মসজিদ একটি আধ্যাত্মিক ও সামাজিক কেন্দ্র। সেনাবাহিনী শুধু আমাদের সুরক্ষাই দেয়নি, আমাদের বিশ্বাসকেও পুনরুজ্জীবিত করেছে। এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই সহায়তা তাদের সীমান্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে সহায়তা কর্মসূচির অংশ। উল্লেখ্য, সীমান্ত এলাকার নাগরিকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সাহায্যের চেষ্টা করে চেলেছে সেনাবাহিনী।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অধীনে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিতে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছিল। পহলেগাঁও হামলার পরে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায়, পাকিস্তান সীমান্তের ওপার থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালাতে শুরু করে। এর জেরে জম্মু ও কাশ্মীরে গুরুদ্বারের পাশাপাশি মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরই সঙ্গে প্রাণ হারান বেশ কিছু।