Operation Keller। কাশ্মীরেই খতম তিন জঙ্গি! অপারেশন কেল্লার

Spread the love

এবার কাশ্মীরে জঙ্গি নিকেশ করল বাহিনী। অপারেশন সিঁদুরের পর এবার অপারেশন কেল্লার(Operation Keller)।সেনা জঙ্গি গুলির লড়াই। তিন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। এলাকায় জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি শুরু করে সেনা। এরপর তিনজনকে নিকেশ করা হয়েছে।

সেনার তরফে জানানো গিয়েছে, ১৩ মে ২০২৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিটের গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে সোপিয়ানের শোয়েকাল কেল্লার এলাকায় জঙ্গিরা জড়ো হয়েছে বলে খবর মেলে। এরপরই শুরু হয়ে তল্লাশি অভিযান। অপারেশন চলছে বলে জানানো হয়েছে সেনার তরফে।

এদিকে তল্লাশি অভিযানে নেমে সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়ে যায়। এরপরই তিন জঙ্গিকে খতম করা হয়।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। নিরীহ পর্যটকদের উপর গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। এরপর শুরু জঙ্গি নিকেশ অভিযান। অপারেশন সিঁদুরে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এবার অপারেশন কেল্লার। খতম তিন জঙ্গি।

সোপিয়ানে লস্কর ই তইবার তিন জঙ্গিকে খতম করেছে বাহিনী। তার মধ্য়ে দুজন জঙ্গির পরিচয় জানা গিয়েছে। অপর এক জঙ্গিকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এএনআইয়ের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, মৃত এক জঙ্গির নাম শাহিদ কুট্টে। মহম্মদ ইউসুফ কুট্টের ছেলে। সোপিয়ানের ছোটিপোড়া হিরাপোরা এলাকার বাসিন্দা ছিল। ২০২৩ সালের ৮ মার্চ সে লস্কর ই তইবাতে যোগ দিয়েছিল। ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল ড্যানিস রিসর্টে গুলি চালানোর ঘটনার যুক্ত ছিল সে। সেদিন দুজন জার্মান পর্যটককে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। এক চালক আহত হয়েছিলেন। সোপিয়ানের হিরাপোরাতে বিজেপির এক পঞ্চায়েত প্রধানকে গুলি করার ঘটনাতেও যুক্ত ছিল সে। ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুলগামে গুলি চালানোর ঘটনায় সে যুক্ত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর এমনটাই।দ্বিতীয় জঙ্গিকেও শনাক্ত করা গিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যটকের নাম আদনান শাফি দার। সে মহম্মদ শাফি দারের ছেলে। তারও বাড়ি সোপিয়ানে। সোপিয়ানের ওয়ানদুনা মেলহোরা এলাকার বাসিন্দা ছিল সে। সে লস্করে যোগ দিয়েছিল ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর। ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর সোপিয়ানে স্থানীয় নয় এমন কয়েকজন শ্রমিকের উপর গুলি চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনাতেও এই জঙ্গি জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।তৃতীয় জঙ্গির পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *