পাকিস্তানে মুখোমুখি সেনা এবং পুলিশ। বচসা বাঁধে দুই পক্ষের। ঘটনাটি ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়াতে। সেখানেই একটি থানায় পাক সেনাকর্মীরা এসেছিলেন কোনও কর্তব্যের খাতিরে। তবে তাদের সেখান থেকে ভাগিয়ে দিতে পাঠান পুলিশ আধিকারিকরা কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা অবশ্য যাচাই করতে পারেনি ইনিউজবাংলা। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের মধ্যে সংঘাত লেগেই রয়েছে বিগত বেশ কিছু বছর ধরে। মূলত পাকিস্তানি সরকার এবং প্রশাসনের মাথায় আছে পঞ্জাবিরা। পাকিস্তানের বাকি জনজাতিদের বিভিন্ন ইস্যুতে তাই পঞ্জাবিদের সঙ্গে সমস্যা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আবার খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে আফগান শরণার্থীদের বিতাড়িত করেছে পাকিস্তান। যা নিয়ে পাকিস্তানি পাঠানদের মনে অসন্তোষ রয়েছে পঞ্জাবিদের বিরুদ্ধে।
এদিকে ভাইরাল ভিডিয়োতে থানার ছাদ থেকে এক পুলিশকর্মীকে বলতে শোনা যায়, ‘মাথা খারাপ নাকি? ওখানে কাশ্মীরে যা। এখানে কী করছ? আপনার জেনারেল এখানে এলেও কিছু করতে পারবে না। আপনাদের জেনারেলকে আমরা বুটের ওপর রাখি। বাজে কথা বলো শুধু। এটা লাকি মারওয়াত পুলিশ। কথাটা মনে রেখো।’ এদিকে ভিডিয়োতে দেখা যায়, নীচে সেনার ইউনিফর্ম পড়ে বহু জওয়ান। এদিকে ওপরে থানা রছাদে বন্দুক হাতে সাধারণ পাঠান পোশাকে বেশ কয়েকজন। তারা সেনার দিকে বন্দুক তাক করে ছিল ছাদ থেকেই।

বিগত দিনে টিটিপির সঙ্গে পাক সেনার সংঘাত তীব্র হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই লেগেই থাকে। আবার সেনাও অভিযান চালায় জঙ্গিদের ধরতে। অনেক সময় আবার জঙ্গিদের নামে সাধারণ মানুষকেই মেরে বসে পাক সেনা। এর আগে টিটিপি জঙ্গিদের মারতে গিয়ে আফগানিস্তনে শিশু, মহিলারদের খুন করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। মে মাসের প্রথম তারিখেও রক্ত ঝরেছে খাইবার প্রদেশে। এই প্রদেশের দক্ষিণে বান্নু শহরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইতে মারা গিয়েছে ৩ পুলিশ। ঘটনায় জখম আরও বহু। বান্নুর চশমি এলাকার স্পিন টাঙ্গিতে এই ঘটনা ঘটে।