কিডনি রোগের লক্ষণ

Spread the love

কিডনি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ; যা শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত খনিজ উপাদান ফিল্টার করে বের করে দেয়। কিন্তু কিডনি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন শরীরে দেখা দিতে শুরু করে বেশকিছু পরিবর্তন।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না থাকে, সেই সঙ্গে যদি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত থাকে তাহলে সঠিক চিকিৎসার অভাবে দেখা দিতে পারে কিডনির সমস্যা। এছাড়া অপুষ্টি, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়াসহ অনেক কারণেই কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

চিকিৎসা শাস্ত্রে  কিডনি রোগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি একিউট কিডনি ইনজুরি অন্যটি ক্রনিক কিডনি ডিজিজ। হঠাৎ করে আক্রান্ত হলে তাকে একিউট বলা হয়। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে কিডনির কার্যকারিতা আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে গেলে তাকে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বলা হয়।

উপসর্গ বা লক্ষণ

শরীরে কিডনি সমস্যা দেখা দিলে বেশকিছু উপসর্গ বা লক্ষণ শরীরে স্পষ্ট হতে শুরু করে। এ প্রসঙ্গে টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার কিডনি রোগের বেশকিছু লক্ষণ উল্লেখ করেন। এগুলো হলো-

১. প্রস্রাব কম বা বেশি হওয়া

২. প্রস্রাবে জ্বালা করা অথবা প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া বা ব্যথা অনুভব করা

৩. ঘন ঘন প্রস্রাব বা প্রস্রাবের দুর্গন্ধ হওয়া

৪. কোমরের দুই পাশে বা তলপেটে ব্যথা অনুভব করা

৫. শরীরের বিভিন্ন অংশে জল জমা বা হাত-পা মুখ ফোলাফোলা ভাব

৬. শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি হওয়া

৭. বেশি ক্লান্তি লাগা বা বমি বমি ভাব

এছাড়া-

১। কিডনির সমস্যা হলে শরীর থেকে প্রোটিন বেশি বের হয়ে যায় তাই প্রস্রাবে ফেনা ভাব হয়। প্রস্রাবের রং লালচে হতে পারে।

২। কিডনির সমস্যার কারণে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীন হয়ে থাকে। তখন মাংসপেশিতে টান লাগতে পারে।

৩। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস শনাক্ত না হলে অথবা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বা চিকিৎসা না হলে কিডনি, লিভার, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৪। শরীরের ত্বক নষ্ট হয়ে যায়, চুল পড়ে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *