মঙ্গলবার আসে দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত ওরফে প্রীতমের মৃত্যুর খবর। মাত্র ২৬ বছর বয়সে অকালে চলে যায় এই তরুণ। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা মনে করা হলেও, পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, কোনও ‘ফাউল প্লে’ নেই। হেমারেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিসে মৃত্যু হয়েছে রিঙ্কু মজুমদারের একমাত্র সন্তানের।
তারপর থেকেই আসলে মানুষের মনে ভয় ধরিয়েছে এই কোনও হেমারেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগটি। কেন হয়? কী উপসর্গ? আদৌ আছে কি কোনো চিকিৎসা? প্রশ্ন উঠছে ভুরিভুরি। এদিকে, সৎ ছেলের মৃত্যুর পর যেভাবে দিলীপ ‘ড্রাগসের’ কথা বলেছেন, তাতে অনেকের মনে প্রশ্ন, নেশার থেকেই হয়নি তো এই রোগ?
ডাক্তাররা জানাচ্ছেন যে, হেমারেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস হচ্ছে অগ্নাশয়ের (Pancreas) প্রদাহ। এর ফলে অগ্ন্যাশয়ের ভিতরে বা চারপাশে রক্তপাত ঘটতে থাকে। অতিরিক্ত মদ্যপান এর অবশ্যই একটি কারণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও পিত্তথলিতে পাথর, এমনকী, জিনগত কারণেও এই রোগ হতে পারে। এছাড়া কিছু ওষুধ এবং ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মতো সংক্রমণও অগ্নাশয়ে প্রদাহের কারণ হতে পারে।

হেমারেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিসের (Hemorrhagic pancreatitis) মূল উপসর্গ হল, পেটের উপরেরদিকে তীব্র যন্ত্রণা। এই ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব, এবং পেটে ফোলা বা গ্যাসের মতো সমস্যা হতে পারে। এমনকী রক্তবমিও হতে পার।চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে, হেমারেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস (Hemorrhagic pancreatitis) শরীরের অন্যান্য অংশেও জটিলতা তৈরি করতে পারে এবং প্রাণঘাতীও হতে পারে। যেমন প্রীতমের হার্টের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল। কিডনি ও লিভারের আকারও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল।