সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়া খেলেও এর বীজ বা বিচি অনেকেই খান না, ফেলে দেন। কিন্তু আপনি কি জানেন? কুমড়ার বিচি বা বীজ না খেলেই বড়সড় ভুল করবেন!
সহজলভ্য এ সবজি যতটা পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ঠিক ততটাই উপকারী এ সবজির বীজ। ড্রাই ফুড হিসেবে দারুণ একটি খাবার হতে পারে কুমড়ার বীজ।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ‘পাওয়ার হাউস’ মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে আছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব খাদ্য উপাদান।
নিয়মিত এ বীজ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের পুষ্টিবিদ শরীফা আক্তার শাম্মী বলছেন, একজন সুস্থ ব্যক্তির প্রতিদিন ১৫টি কুমড়ার বীজ খাওয়া জররী। তবে কেউ চাইলে নিয়মিত ২০টি কুমড়ার বীজও খেতে পারেন।
কুমড়ার বিচি বা বীজের উপকারিতা
প্রতি ১০০ গ্রাম কুমড়ার বিচিতে প্রায় ৫৬০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। নিয়মিত কুমড়ার বিচি খেলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ওজন কমায়, চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
যদি ঘুমের সমস্যায় দীর্ঘদিন ভোগেন তবে কুমড়ার বিচিকে কাজে লাগাতে পারেন। কারণ কুমড়ার বিচিতে আছে সেরোটোনিন। এ উপাদান মানসিক চাপ কমিয়ে ঘুম এনে দিতে পারে নিমিষেই।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অ্যালার্জির সমস্যাও দূর করতে পারে এ বীজ। এ বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যাতে ভালো কাজ করতে পারে এই খাবার।
এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস হাড়ের গঠন মজবুত রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই এবং অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা কমায়।
বীজে থাকা দস্তা বা জিঙ্ক ইমিউন সিস্টেম মজবুত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ বা বিচিতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এটি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কুমড়ার বীজকে ড্রাই ফুড করার উপায়
বীজ বা বিচি খেতে কুমড়া থেকে তা আলাদা করে একটি প্লেটে ছিটিয়ে রাখুন। নিয়মিত রোদে শুকাতে দিন। কিংবা চুলার নিচে রাখুন। ঝরঝরে হলে ফ্রাইপ্যানে তেল ব্রাশ করে হালকা ভিজে নিতে পারেন। সকাল এবং বিকালের নাস্তায় কুমড়ার বীজ ড্রাই ফুড হিসেবে দারুণ উপকারী।