কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে ‘অবিলম্বে’ পদত্যাগ করতে বললেন ট্রাম্প

Spread the love

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে ‘অবিলম্বে’ পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।ট্রাম্প সম্প্রতি ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে একাধিকবার পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সবশেষ বুধবার (২ জুলাই) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘দেরি হয়ে যাচ্ছে, পাওয়েলকে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে।’

এর আগে তার প্রশাসনের শীর্ষ আবাসন নিয়ন্ত্রক জেরোম পাওয়েলের ব্যাপারে তদন্তের আহ্বান জানান। ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সির পরিচালক বিল পুল্ট এক এক্স পোস্টে বলেন, ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল রিজার্ভ সদর দফতরের সংস্কার নিয়ে পাওয়েলকে তার ‘রাজনৈতিক পক্ষপাত’ এবং ‘প্রতারণামূলক সাক্ষ্যের’ তদন্ত করা উচিত।

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে পাওয়েলকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর তিনি পাওয়ালকে বারবার সুদের হার কমানোর আহ্বান জানাচ্ছেন। 

তবে নীতি সুদহার অপরিবর্তিতই রেখেছে ফেডারেল রিজার্ভ। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতির জেরে দেশে মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্ব বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। মার্কিন অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।

ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে আবারও পাওয়েলকে চিঠি দেন। তাতে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদের হার, যা বর্তমানে ৪.২৫ শতাংশ থেকে ৪.৫ শতাংশের মধ্যে নির্ধারিত, ‘আরও’ কমানোর দাবি জানান। তার দাবি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকারের সতর্ক অবস্থান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে পিছিয়ে দিচ্ছে এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ অতিরঞ্জিত।

তবে ট্রাম্পের চিঠির পরও সুদহার কমাতে কোনো পদক্ষেপ নেননি পাওয়েল। আর তাই তার পদত্যাগেই সমাধান দেখছেন ট্রাম্প। বিবিসি জানিয়েছে, পাওয়েলকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্পের পোস্ট দেয়ার পর এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তারা ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

তবে ট্রাম্পের কথায় পাওয়েল পদত্যাগ করবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার আগে পাওয়েল বলেছিলেন, যদি প্রেসিডেন্ট তাকে পদত্যাগ করতে বলেনও, তিনি তা করবেন না এবং আইন অনুযায়ী তাকে অপসারণ করার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *