কেন আলিফা আহমেদকে প্রার্থী করল তৃণমূল?‌

Spread the love

প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের মেয়ে আলিফা আহমেদকে কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই খবর এখন সকলেরই জানা। কিন্তু কেন তৃণমূল কংগ্রেস নাসিরুদ্দিনের মেয়েকে প্রার্থী করল?‌ এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই অজানা। আলিফা আহমেদ সরাসরি রাজনীতিতে কখনও ছিলেন না। কিন্তু বাবার সঙ্গে প্রচারে যেতেন। বাবা দলের কর্মীদের সঙ্গে কী আলোচনা করছেন, নেতৃত্বের সঙ্গে কেমন যোগাযোগ রাখছেন এবং মানুষের সঙ্গে কেমন করে জনসংযোগ রেখে কাজ করছেন সবটাই সাক্ষী আলিফা আহমেদ। বাবা নাসিরুদ্দিনের পাশে থেকে কাজ করেছেন আলিফা। এটা অনেকেরই অজানা।

রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেও কখনও সামনে আসেনি। বরং সঙ্গে থেকেছেন। প্রচারে বাবাকে সাহায্যও করেছেন। নাসিরুদ্দিন অনুভব করেছিলেন মেয়ে একদম তৈরি রাজনীতিতে নামতে। তাই প্রস্তাবও দিয়েছিলেন একবার। কিন্তু মেয়ে তখন রাজি হননি। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার আলিফা আহমেদ বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতে শুরু করেন। তবে কালীগঞ্জের প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নখদর্পণে। এই কথাটি জানতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই শিক্ষিত, রাজনীতিতে থাকা এবং একজন যুবতীকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই তিন ফ্যাক্টরই মাস্টারস্ট্রোক দিতে পারে।

প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের জয়ী আসনে তাঁর কন্যা যে যোগ্য সেটা অনুভব করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৮ সালে প্রথমবার নদিয়া জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ এবং জয়লাভ করেন আলিফা। সুতরাং রাজনীতিতে একেবারে আনকোরা নন তিনি। বাবা নির্বাচনে অংশ নিলেও বুথ ধরে ধরে নির্বাচন পরিচালনা করতেন এই আলিফা আহমেদই। যা অনেকেরই অজানা। কিন্তু এত বড় দায়িত্ব আসবে সেটাও ভারতে পারেননি আলিফা। এই দায়িত্ব হঠাৎ এলেও আলিফা আত্মবিশ্বাসী জয় নিয়ে।

আলিফার শিক্ষাজীবন শুরু হয় কৃষ্ণনগরে। কৃষ্ণনগর হোলি ফ্যামিলি গার্লস স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে বি.টেক করেন দুর্গাপুর বেঙ্গল কলেজ থেকে। এখন টাটা কনসালটেন্সি এজেন্সির প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন আলিফা আহমেদ। তবে দল এই বিরাট দায়িত্ব দেওয়ায় আলিফা কলকাতা থেকে এখন কালীগঞ্জেই চলে এসেছে। আর কাজ শুরু করেছেন। আর দায়িত্ব পেয়ে আলিফা আহমেদ বলেন, ‘‌দল দায়িত্ব দিয়েছে। এবার একেবারে বুথ স্তর থেকে সকলকে নিয়ে একসঙ্গে আলোচনা করে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ব। বাবা নাসিরুদ্দিন আহমেদ মানুষের জন্য যে কাজ করে গিয়েছেন তাতে নির্বাচনে বাবার ইমেজটাই কাজে লাগবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *