বীরভূমে দলের জেলা সভাপতি পদ তুলে দেওয়ার পর আজই (রবিবার – ১৮ মে, ২০২৫) প্রথম বৈঠকে বসলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কোর কমিটির সদস্যরা। সেই বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন – সুদীপ্ত ঘোষ, অভিজিৎ সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরী এবং আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সুদীপ্ত ঘোষ বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ পরই ব্যক্তিগত কাজে বেরিয়ে যান। এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন – শতাব্দী রায় ও চন্দ্রনাথ সিনহা।
দলীয় সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, এদিনের এই বৈঠক চলাকালীনই অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে বলেন, ‘কোনওরকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, ছাব্বিশের নির্বাচনে (বিধানসভা ভোট, ২০২৬) একজোট হয়ে ঝাঁপাতে হবে।’
একইসঙ্গে মমতা অনুব্রত মণ্ডলকে দলে জেলার সকল নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশ দেন বলেও খবর সূত্রের। দলনেত্রী ফোনেই অনুব্রতকে নির্দেশ দেন, ‘কেষ্ট, কাউকে কিন্তু বাদ দেওয়া যাবে না। কাজলকেও কনফিডেন্সে নিতে হবে। আশিসদা আর শতাব্দীকেও মাঝে মাঝে ডেকে নেবে।’ প্রসঙ্গত, আগে কোর কমিটির সদস্যসংখ্যা সাত হলেও শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে জেলায় দলের দুই সাংসদকেও এই কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে।

বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে দু’টি শিবির রয়েছে বলে দাবি করা হয়। সেই হিসাবে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে পরস্পরের বিরোধী হিসাবে দাবি করা হয়। একটা সময় এই জেলায় অনুব্রতই ছিলেন শেষ কথা। কিন্তু, তাঁর জেলযাত্রার পর কাজল শেখের প্রভাব বাড়ে। অনুব্রত জেল থেকে ফেরার পর দুই শিবিরের মধ্যে থাকা দ্বন্দ্ব বারবার নানা ঘটনায় প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কিন্তু, ছাব্বিশের ভোটের আগে এই ধরনের কোনও বিবাদ চাইছে না শীর্ষ নেতৃত্ব।