কোডনেম ‘ম্যাডাম N’! পাক স্পাই অভিযোগে ধৃত ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে ছিল যোগ?

Spread the love

পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানার পর থেকে ভারতের একের পর এক ইন্ফলুয়েন্সার প্রশাসনের স্ক্যানারে। পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন জ্যোতি মালহোত্রা সহ একাধিক ইনফ্লুয়েন্সার। এদিকে, বেশ কিছু রিপোর্টের দাবি, ভারতীয় কিছু ইনফ্লুয়েন্সারকে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিকে লোভ দেখানোর নেপথ্যে ছিলেন এক মহিলা। পাকিস্তানে, এই ইনফ্লুয়েন্সারদের সফর করাতে যেমন তিনি সাহায্য করেছেন, তেমনই তাঁদের পাকিস্তানি গুপ্তচরবৃত্তির কাজে লাগানোর জন্য জমি তৈরি করে রেখেছেন এই মহিলা।

পাকিস্তানের লাহোরে এক ট্রাভেল এজেন্সি চালান এই মহিলা। তথ্য বলছে, তাঁর কোড নেম ‘ম্যাডাম N’!

কে এই ‘ম্যাডাম N’?

নাম নোশাবা শেহজাদ। লাহোরে জাঁকিয়ে ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা ফেঁদে বসা এই মহিলাই ‘ম্যাডাম N’। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-র ছাতার তলায় বহু দিন ধরে কাজ করে চলেছেন ইনি। লাহোরে তাঁর সংস্থার নাম ‘জানিয়া ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম’। ‘এনডিটিভি’র রিপোর্ট বলছে, ইনিই জ্যোতি মালহোত্রা সহ বহু ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকে পাকিস্তানে সফর করতে সাহায্য করেন। প্রশ্ন উঠতেই পারে এই লাহোরের ব্যবসায়ী মহিলার নাম কীভাবে পেল ভারতের তদন্তকারীরা? জানা যাচ্ছে, একের পর এক ইনফ্লুয়েন্সারকে জেরা করে এই নোশাবার নাম মিলেছে। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, নোশাবা ব্যাপক আকারে স্লিপার সেলের নেটওয়ার্ক তৈরির কাজে নিযুক্ত ছিলেন। যে নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে ৫০০ জন গুপ্তচর রাখার পরিকল্পনা ছিল বলে খবর । যাঁরা সহজেই সকলের চোখের সামনে ভারতের যেকোনও জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারবেন।

তথ্য বলছে, নোশাবার স্বামী পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসেসের একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। আর নোশাবার কাছে নির্দেশ আসত পাকিস্তানি সেনা আর আইএসআই-র কাছ থেকে। জানা গিয়েছে, যে ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকে হাত করার টার্গেট থাকত, তাঁকে নেশাবাই পাকিস্তানের সেনা ও আইএসআই-র সঙ্গে দেখা করাতেন। গত ৬ মাসে ৩০০০ ভারতীয় ও দেড় হাজার এনআরআই-কে পাকিস্তানে সফর করতে সাহায্য করেছেন। নোশাবার প্রভাব এতটাই রয়েছে, যে তিনি দিল্লিতে পাকিস্তানি দূতাবাসে পর্যন্ত প্রভাব খাটান। পাক দূতাবাসে ভিসা সংক্রান্ত ফার্স্ট সেক্রেটারি সুহেল কুরেশির সঙ্গেও নোশাবার জানাশোনা কম নয়! জ্যোতি মালহোত্রা কেসে, যে দানিশের নাম বারবার উঠে এসেছে, সেই দানিশের সঙ্গেও নোশাবার জানাশোনা রয়েছে। উল্লেখ্য, দিল্লিতে পাকিস্তান দূতাবাসে ভিসা অফিসার ছিলেন দানিশ, যাঁকে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই নোশাবা ওরফে ‘ম্যাডাম এন’র সুপারিশ থাকলে পাকিস্তানের ভিসা পাওয়াও হত সহজ! বলছে রিপোর্ট। সদ্য দিল্লি সহ ভারতের বেশ কিছু জায়গা থেকে ট্রাভেল এজেন্ট নিয়োগ করেছেন এই নোশাবা। যে এজেন্টরা তাঁর সংস্থার প্রচার চালাচ্ছেন বলে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *