‘কোহিনূর’ নিয়ে ইউকের সঙ্গে ভারতের কী কথা চলছে? 

Spread the love

‘কোহিনূর’ হিরে ঘিরে ভারতের সঙ্গে ইউকের ‘শেয়ার্ড অ্যাকসেস’ নিয়ে দুই দেশের কথা চলছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ সংস্কৃতি, মিডিয়া ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রী লিসা নন্দী। ভারতীয় বংশোদ্ভূত তথা বাঙালি-ব্রিটিশ পরিবারের সন্তান লিসা নন্দী সদ্য ভারত সফরে আসেন। নয়া দিল্লিতে তাঁকে ‘কোহিনূর’ সম্পর্কে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে আলোচনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় সাংবাদিকদের তরফে। উত্তরে লিসা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কী জানিয়েছেন দেখা যাক।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিসা বলেন,’আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাজ্য এবং ভারতের মধ্যে আলোচনা করছি যে কীভাবে আমরা মনে করি… যে আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে একসাথে সহযোগিতা করতে পারি যাতে নিশ্চিত করা যায় যে যুক্তরাজ্য এবং ভারতের মানুষ উভয়ই ভিন্ন যুগের সাংস্কৃতিক নিদর্শন থেকে উপকৃত হতে পারেন এবং তাঁরা অ্যাক্সেস পেতে পারেন।’ লিসার এই বার্তা থেকে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি শেষমেশ ‘কোহিনূর’কে ভারতের সঙ্গে ‘অ্যাকসেস’র দিক থেকে ভাগ করে নেবে ব্রিটেন? কোহিনূর সম্পর্কে প্রশ্ন করায় লিসা বলছেন,’ এটি এমন একটি বিষয় যা আমি আমার মন্ত্রক বিষয়ক ভারতীয় মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি।’ প্রসঙ্গত, ভারতের সাংস্কৃতিক ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের সঙ্গে লিসা নন্দীর নেতৃত্বাধীন ইউকের একটি প্রতিনিধি দল এক তাবড় মৌ স্বাক্ষর করেছে দিল্লিতে। আর সেই চুক্তি ছিল সাংস্কৃতির সহযোগিতা বিষয়ক। উল্লেখ্য, ‘কোহিনূর’ হল এমন এক হিরে যা ১০৫.৬ ক্যারটের। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘কাট ডায়ামন্ড’র অন্যতম। ভারতের ব্রিটিশ যুগে এই হিরে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির হাতে যাওয়ার আগে ভারতীয় রাজাদের হাতে ছিল। ব্রিটিশদের হাতে এই হিরে গিয়েছিল মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের ট্রেজারি থেকে। পরে তা ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়রা কাছে যায়। ‘কোহিনূর’র ভারত থেকে ইংল্যান্ডে যাওয়াকে ‘লুট’ হিসাবে দেখে থাকেন অনেকে।

কে লিসা নন্দী?

প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ মন্ত্রী লিসা নন্দী হলেন, ভারতীয় তাবড় শিক্ষাবিদ দীপক নন্দীর কন্যা। লিসার মামারবাড়ির পক্ষের দাদু প্র্যাঙ্ক বায়ার্স ছিলেন ব্রিটেনের লিবারাল সাংসদ। একটা সময়, ইংল্যান্ডের ‘হাউস অফ লর্ডস’র লিবারালদের নেতা ছিলেন। ইংল্যান্ডের বারি ও ম্যানচেস্টার এই দুই জায়গায় বেড়ে উঠেছিলেন লিসা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *