বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। সেই আন্দোলনে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এমনটাই দাবি চাকরিহারাদের। তবে ইতিমধ্য়েই সেই আন্দোলনকে নাটক বলে দাগিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম।
তৃণমূলের অপর নেতা কুণাল ঘোষ কার্যত ফিরহাদ হাকিমের পাশেই দাঁড়ালেন এই ইস্যুতে।কুণাল বলেন, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছে যখন তখন কেউ আপত্তি করেনি। কিন্তু সব্যসাচী দত্ত যদি অন্য় কাজে যেতে চান তবে তাকে অ্য়াটাক করলেন! টিভি ক্যামেরা দেখে হাত পা ছুঁড়ে ছুঁড়ে নাটক করে ছবি তুলবেন
কুণাল ঘোষ বলেন, ছবিটা দেখেছেন, একটা ছেলে বার বার ঘুরে ফিরে গিয়ে হাত পা ছুঁড়ে ক্যামেরার সামনে শুয়ে পড়ছে। ক্যাম লুক শব্দটা তো বুঝি। লেন্সের দিকে তাকিয়ে শুয়ে পড়ছে। লাইট কোন দিক থেকে আসছে সেদিক দেখে বাইট হচ্ছে। একটা রিলিফ দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই অশান্তিটা সুপ্রিম কোর্টে এমন ভাবে না পৌঁছয় যাতে এই জিনিসটা না বন্ধ হয়ে যায়। বলেন কুণাল।এর আগে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, মায়ের অসুস্থতায় বাড়ি যেতে পারব না, এটা হতে পারে না। সুপ্রিম কোর্ট যা দিয়েছে সেটা বদলাতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। এটা তো নাটক হচ্ছে। বিকাশ ভবনে আন্দোলন করে এটা বদলানো যায় না।তবে ফিরহাদ হাকিম ও কুণাল ঘোষের কথা শুনে ফুঁসছেন চাকরিহারারা। তাদের দাবি, বাংলার শিক্ষকদের নিয়ে তামাশা করছেন কুণাল ঘোষ।

বিকাশ ভবনের সামনে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছেন চাকরিহারারা। আর সেই আন্দোলনকে কার্যত নাটক বলে দাগিয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিমরা। তবে সেই সঙ্গেই কুণাল ঘোষ বলেন, আমি কাউকে অসম্মান করছি না।