চীন গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং।সোমবার (৩ নভেম্বর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, বেইজিং সবসময় ‘শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের’ প্রতি অনুগত এবং ‘প্রথমে ব্যবহার না করার’ পরমাণু নীতি অনুসরণ করে।
মাও জোর দিয়ে বলেন, চীনের পারমাণবিক কৌশল কঠোরভাবে প্রতিরক্ষামূলক এবং দেশটি সমস্ত পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত করার প্রতিশ্রুতি পালন করেছে।রোববার ট্রাম্প অভিযোগ করেন যে চীন ও রাশিয়া অঘোষিত পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে।
সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটের অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়া পরীক্ষা চালাচ্ছে, এবং চীনও পরীক্ষা চালাচ্ছে, কিন্তু তারা এ বিষয়ে কথা বলছে না।’
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রথমবারের মতো মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার জন্য পেন্টাগনকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেয়ার কয়েকদিন পর এসব বললেন ট্রাম্প।
এদিকে, বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে এবং ‘ভঙ্গুর বৈশ্বিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা’ বজায় রাখার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

মাও বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ বজায় রাখবে এবং বৈশ্বিক কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষা করবে।’
তিনি আন্তর্জাতিক নিরস্ত্রীকরণ ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য জোরালো পদক্ষেপ নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান, যার মধ্যে রয়েছে বিস্তৃত পারমাণবিক-পরীক্ষা-নিষেধ চুক্তি, যা সমস্ত পারমাণবিক বিস্ফোরণ নিষিদ্ধ করে।মাও পুনর্ব্যক্ত করেন, চীন সর্বদা শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের যাত্রায় বিশ্বাস করে এবং পারমাণবিক সংযম এবং বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সমস্ত জাতির সাথে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।