ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দিতে সিরিয়ার সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছে ইসরাইল।ইসরাইলি ও সিরীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে সম্প্রতি একাধিক গোপন আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২।
মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে গত বুধবার (১৪ মে) সৌদি আরবে সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারার সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই সময় তিনি শারাকে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান জানান। এর একদিন পরই ইসরাইলের সঙ্গে সিরিয়ার আলোচনার খবর সামনে এল।
চ্যানেল-১২ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরাইল আর সিরিয়ার মধ্যে এসব গোপন আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে অপর ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, ইসরাইল-সিরিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতা করছে কাতার এবং এটি কয়েক মাস ধরেই চলছে।
গত সপ্তাহে আহমেদ আল শরা নিশ্চিত করেন, ইসরাইলের সঙ্গে তাদের নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা হয়েছে। যদিও সম্ভাব্য কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।

চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, সম্প্রতি এমন একটি বৈঠক হয়েছে আজারবাইজানে। সেখানে ইসরাইলের প্রতিনিধিত্ব করেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অপারেশন্স ডিরেক্টরেটের প্রধান মেজর জেনারেল ওদেদ বাসুক। তিনি সিরিয়ার নতুন সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই সময় সেখানে তুরস্কের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-শারা’র সঙ্গে সৌদি আরবে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প। পরে তিনি বলেন, ‘আজ সকালে সৌদি আরবে সংক্ষিপ্ত বৈঠকটি দুর্দান্ত হয়েছে। এই সিরিয়ান (আল-শারা) তরুণ একজন আকর্ষণীয় ব্যক্তি। শক্ত লোক। শক্তিশালী অতীত রয়েছে, খুব শক্তিশালী অতীত। তিনি একজন যোদ্ধা।’
ট্রাম্প আরও বলেন, এটা (নেতৃত্ব) ধরে রাখার ক্ষেত্রে তার সত্যিকার দক্ষতা আছে। আমি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সাথে কথা বলেছি, যার সাথে তার (আল-শারার) খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। তিনি (এরদোয়ান) মনে করেন যে তার (শারা’র) ভালো কাজ করার সুযোগ আছে। এটি (সিরিয়া) একটি বিধ্বস্ত দেশ।
ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সিরিয়া একসময় আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে বলেও মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয় তাদের নিজেদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমি তাকে বলেছি যে, আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে গেলে তোমরাও যোগ দেবে (আব্রাহাম চুক্তিতে)।’ ‘সে বলল, হ্যাঁ। কিন্তু তাদের অনেক কাজ বাকি,’ যোগ করেন ট্রাম্প।