যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা ‘গোল্ডেন ডোম’ ঘিরে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এটি শুধু প্রযুক্তিগত প্রকল্প নয়; ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার নতুন কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে ওয়াশিংটনের এই উদ্যোগের সমালোচনা করছে বিভিন্ন দেশ।
এই ব্যবস্থা পারমাণবিক যুদ্ধকে মহাকাশে টেনে নিতে পারে বলে নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। অন্যদিকে, এটি নিরাপত্তার ভারসাম্য বিনষ্ট করবে বলে মন্তব্য করেছে চীন।
‘Golden Dome’ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন মহাকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যার লক্ষ্য হাইপারসনিক ও পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধ করা। এ বছরই এটি পুরোপুরি কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রথম ধাপে এর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই হাজার ৫শ কোটি ডলার, যা ভবিষ্যতে বিশ গুণ বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, এই প্রকল্পকে ‘উসকানিমূলক’ এবং ‘অহংকারের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ং বলছে, মহাকাশকে সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করছে ওয়াশিংটন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফল হলে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রভাণ্ডার অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়বে। তখন পিয়ংইয়ং বিকল্প হামলা কৌশলের দিকে ঝুঁকবে।

২০২২ সালে পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়া। তখন থেকেই নিয়মিত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
ওয়াশিংটনের এই পরিকল্পনা বিশ্বব্যাপী নতুন পারমাণবিক ও মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু করবে বলে সমালোচনা করছে বিভিন্ন দেশ।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কেবল নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে অন্য দেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। ‘Golden Dome’-এর আক্রমণাত্মক বৈশিষ্ট্য নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়েছে বেইজিং।