গ্রুপ সি-ডি-দের ভাতার নির্দেশে স্থগিতাদেশ

Spread the love

চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতার নির্দেশিকায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহা অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। রাজ্যকে ৪ সপ্তাহে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গত ১৫ মে চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য যথাক্রমে মাসিক ২৫ হাজার টাকা ও ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যতদিন এই মামলার রিভিউ পিটিশনের নিষ্পত্তি না হচ্ছে ততদিন তাঁরা ভাতা পাবেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ে সরকারের এই ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ।

সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কী বলছেন চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরা?

চাকরিহারা এক গ্রুপ ডি কর্মী বলেন, এটা তো হওয়ারই কথা ছিল। যোগ্য অযোগ্যদের আলাদা করা হয়নি। অপর এক চাকরিহারা বলেন, আমরা ভাতা চাই না চাকরিটা ফেরত চাই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আসল সমস্যাটা হয়েছে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা না করেই সকলকেই ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া। এই সরকারি নির্দেশিকায় যে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ আসবে সেটা আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল। এমনটাই মনে করছেন চাকরিহারাদের একাংশ।

চাকরিহারা এক গ্রুপ ডি কর্মী বলেন, এটাতে যে স্থগিতাদেশ হবে সেটা জানতাম। অনেকে অন্য চাকরি ছেড়ে এই চাকরিতে এসেছিলেন। সেক্ষেত্রে তিন মাসের জন্য বেতন না পাওয়া, তাদের সংসার চালানো ওষুধের খরচ সামাল দেওয়া এটা সম্ভব নয়। এটা দরকার ছিল। তবে সরকার যে ঘোষণাটা করেছিল সেটা পুরো প্রচারের জন্য।

অপর এক চাকরিহারা গ্রুপ ডি কর্মী বলেন, যোগ্য -অযোগ্য আলাদা করা হল না। তার মধ্য়ে ভাতার কথা বলা হল। চুরি করে যারা চাকরি পেয়েছিল তাদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশিকা। সেক্ষেত্রে যেটা হওয়ার ছিল সেটাই হয়েছে। একাধিক চাকরিহারার দাবি, আমরা ভাতা চাই না। যোগ্যতার ভিত্তিতে যে চাকরিতে আমরা ছিলাম সেটা আমরা ফেরত চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *