হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে ঘাড়ে ব্যথা হলে বুঝতে হবে শোয়ার কোনো অসঙ্গতির কারণে ঘাড়ের রগে টান পড়েছে। তবে এমন সমস্যা হলে ঘাড়ে গরম সেঁক দিলে উপকার পাওয়া যায়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক বা অন্য কোনো ওষুধ সেবন করা ঠিক নয়।
রাতে ঘুমানোর সময় যদি অনেকে উঁচু বালিশ ব্যবহার করেন, কেউ নিচু বালিশ ব্যবহার করেন আবার কেউ একের অধিক অতিরিক্ত বালিশ ব্যবহার করেন। তাদের ক্ষেত্রে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেক সময় ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। আবার ভুল ভঙ্গিতে শোয়ার কারণেও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
ঘাড়ের ব্যথা সারানোর উপায়-
ঘাড় ব্যথা হলে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো আলতোভাবে ঘাড় টান টান করার চেষ্টা করা। খুব সাবধানে ধীরে ধীরে পুরো ঘাড়টা চারপাশে গোলাকারে ঘোরাতে হবে। তবে ব্যথা লাগলে থেমে যেতে হবে, জোর করা যাবে না।
‘ইট দিস নট দ্যাট ডটকম’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ঘাড় টান টান করার জন্য চোয়াল দিয়ে বুক স্পর্শ করা, আবার মাথা পেছন দিকে যতদূর সম্ভব হেলিয়ে দিতে পারেন। ঘাড় একবারে আটকে গেলে হাত দিয়ে মাথা ধরে ধীরে ধীরে ঘোরানোর চেষ্টা করতে হবে। তবে জোর করা যাবে না, ব্যথা পেলেই থামতে হবে।
শুরুর কয়েক দিন ব্যথার জায়গায় বরফ থেরাপি প্রয়োগ করুন। বরফে সমস্যা থাকলে গরম সেঁক দিন।
আইবুপ্রোফেন কিংবা প্যারাসিটামলের মতো ব্যথা উপশমকারী ওষুধ খাওয়া যেতে পারে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ঘাড়ে চাপ লাগে এমন কাজ থেকে দূরে থাকুন।
নিয়মিত ঘাড়ের ব্যায়াম করুন।
কারণ-
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক-এর মতে, ঘাড়ের কোনো পেশিতে টান পড়লে ব্যথা হতে পারে। আবার প্রতিদিন যেভাবে ঘুমানো হয় তার ব্যতিক্রম হলে ঘাড় ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শরীরের ‘পশ্চার’ বা ভঙ্গি ঠিক না থাকলেও ঘাড় ব্যথা হয়। এ ছাড়াও ‘মেনিনজাইটিস’ রোগ কিংবা গুরুতর কোনো আঘাত থেকেও ঘাড় ব্যথা হয়। সে ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যারা দীর্ঘ সময় চেয়ার-টেবিলে বসে কাজ করেন, তাদের ঘাড় ব্যথা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই নিয়মিত ‘স্ট্রেচিং’ বা ঘাড় টান টান করতে হবে। তবে ‘স্ট্রেচিং’য়ের চেষ্টা না করলেও যদি অসহ্য ব্যথা অনুভব করেন, তবে ঘাড়ের ব্যথায় পেছনের কারণটা হয়তো গুরুতর কিছু।