চপ, বেগুনির দোকান দিয়েও তিনতলা বাড়ি তোলা যায়

Spread the love

আবারও চপ শিল্পের পক্ষে সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোঝালেন, পরিশ্রম করতে পারলে চপ, বেগুনি ভেজে কিংবা ঘুগনির দোকান চালিয়েও ভালো উপার্জন করা যায়। এমনকী, সেই টাকায় তিনতলা বাড়ি পর্যন্ত করা যায়! আজ (সোমবার – ১৯ মে, ২০২৫) শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে আয়োজিত উত্তরবঙ্গ বাণিজ্য বৈঠকে যোগ দিয়ে এই বার্তা দেন মমতা। 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বরাবরই ছোট ব্যবসার পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। চপ শিল্প নিয়ে আগেও সওয়াল করেছেন তিনি। এমনকী, তাঁর মুখে কচুরিপানা নির্ভর শিল্প, কাশফুল নির্ভর শিল্পের কথাও শোনা গিয়েছে। যা নিয়ে বিরোধীরা তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। কিন্তু, মমতা যে তাঁর যুক্তি, অবস্থানে অনড়, এদিন আরও একবার তার প্রমাণ দিলেন তিনি। 

এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘ছোট দোকান করতে বললে বিরোধীরা গালি দেয়।… আলুর চপ বেগুনির দোকান দেখেছি। ছোট দোকান চালিয়ে তিনতলা বাড়ি বানিয়েছে! আমি দেখেছি, ঘরে ঘুগনি বানিয়েও পরিবার চালানো যায়।… উজ্জ্বলা সিনেমার ওখানে একটি চপের দোকান ছিল। আপনজন নাম। কত টাকা করেছেন জানেন? ভাবতেও পারবেন না!’

রাজ্য়ে যুবসম্প্রদায় যাতে বেকারত্বের বোঝা বয়ে না বেড়ায়, সেই বার্তা দিতেই এদিন ফের একবার ছোট পরিসরে, খুব অল্প টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা করার পক্ষে সওয়াল করেন মমতা। তা যদি ছোট কোনও খাবারের দোকান হয়, তাতেও সমস্যা নেই। মমতার প্রশ্ন, ‘চায়ের দোকান, মোমোর দোকান ফাঁকা দেখেছেন কখনও?’ তাঁর মতে, ছোট শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প বহু মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারে। 

তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে আজই বাগডোগরা হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছন মমতা। তারপর যোগ দেন তাঁর এবারের সফরের প্রথম কর্মসূচিতে। দীনবন্ধু মঞ্চে অসংখ্য ছোট ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীরা যোগ দেন এদিন। তাঁরা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের বিভিন্ন প্রস্তাব রাখেন। নিজেদের নানা সমস্যার কথাও তুলে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *