চলন্ত লঞ্চ থেকে মাঝ গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন দম্পতি

Spread the love

আজ শনিবার সকালে চলন্ত লঞ্চ থেকে মাঝ গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন এক দম্পতি। তবে লঞ্চ কর্মীদের তৎপরতায় তাঁদের দু’‌জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। যদিও এখন তাঁরা বেশ অসুস্থ হয়ে রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। হাওড়ার বাধাঘাটের এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা এখন শুরু হয়েছে উইকএন্ডে। এই দম্পতি হাওড়া বাধাঘাট থেকে আহিরীটোলা যাওয়ার সময় মাঝ গঙ্গায় ঝাঁপ দেন বলে অভিযোগ। তখন লঞ্চ কর্মীদের তৎপরতায় স্বামী–স্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এই দম্পতি হাওড়ার লিলুয়ার ভট্টনগর এলাকার বাসিন্দা।

এদিকে এই দম্পতির সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। সালকিয়া থেকে লঞ্চটি কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, যাত্রাপথে মাঝ গঙ্গায় ঘটে যায় এই বিপত্তি। শেষ পর্যন্ত লঞ্চ কর্মীদের দারুণ তৎপরতায় জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই দম্পতিকে। আসলে তাঁরা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। একমাত্র কন্যার মৃত্যু হয়েছে। আর তার পর থেকে অবসাদে ভুগছিলেন স্বামী–স্ত্রী। এই জীবন তাঁরা রাখতে চান না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার জেরেই এমন চরম পদক্ষেপ করেছিলেন। যদিও বেঁচে গিয়েছেন। তাঁদের সুস্থ হওয়া পর্যন্ত পুলিশ অপেক্ষা করছে। তারপরই তাঁদের বয়ান রেকর্ড করবেন।

অন্যদিকে পুলিশকে ওই দম্পতি জানিয়েছেন যে, মেয়ের শোক তাঁদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই পরিকল্পনা করেই এমন কাজ করেছেন তাঁরা। তাঁরা আর বাঁচতে চান না। এইসব কথা শুনে পুলিশ তাঁদের আশ্বস্ত করেন। শান্ত হতে বলেন এবং পরে সব শুনবেন বলেও ওই দম্পতিকে জানিয়েছেন। ওই দম্পতি সাঁতার জানে না। তাই মাঝ গঙ্গায় ঝাঁপ দিলে তলিয়ে যাওয়া সহজ হবে। এই কারণে পরিকল্পনা করেই এমন কাণ্ড করা হয়। এই ঘটনার পর উদ্ধার করা হলে ওই দম্পতির প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।

এছাড়া পুলিশ সূত্রে খবর, আজ শনিবার সকালে সালকিয়া বাধাঘাট থেকে ভূতল পরিবহণ বিভাগের লঞ্চে ওঠেন ওই দম্পতি। তারপর কলকাতার আহিরিটোলায় যাবেন বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। লঞ্চ যখন মাঝ গঙ্গায় পৌঁছয় তখন দু’জনে একসঙ্গে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। গঙ্গায় ঝাঁপ দিলে তাঁরা তলিয়ে গিয়ে মারা যাবেন এটাই ভেবেছিলেন। কিন্তু লঞ্চের কর্মীরাও তড়িঘড়ি গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। আর ওই দম্পতিকে তাঁরা ‘সেফটি টায়ার’–এর সাহায্যে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন। আর পুলিশেও খবর দেন। তখনই সবটা সামনে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *