প্রায় ১১ সপ্তাহ বন্ধ রাখার পর এক মাস আগে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরাইল। তবে ত্রাণ সরবরাহের দায়িত্ব দেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনকে। গত চার সপ্তাহে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে মানবিক সহায়তা চাইতে গিয়ে কমপক্ষে ৫৪৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিস জানায়, চার সপ্তাহ আগে মার্কিন ও ইসরাইলি সমর্থিত জিএইচএফ পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে মানবিক সহায়তা আনতে গিয়ে কমপক্ষে ৫৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪ হাজার ৬৬ জন আহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে ত্রাণ কেন্দ্রগুলোকে ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ আখ্যা দিয়ে সংস্থাটি বলছে এসব ঘটনায় এখনো ৩৯ ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এই তথাকথিত কেন্দ্রগুলোতে যা ঘটছে তা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধাপরাধ। আমরা এই চলমান অপরাধের তীব্র নিন্দা জানাই, যেখানে ক্ষুধার্ত বেসামরিক নাগরিকদের প্রলুব্ধ করা হচ্ছে এবং তারপর পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন পরিকল্পিত এবং ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দখলদারিত্বকারীরা খাদ্যকে গণহত্যার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা সহায়তা বলে দাবি করে তা ধ্বংস ও আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ারে পরিণত করছে।
এদিকে গাজার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গাজায় কমপক্ষে ৫১ জন ফিলিস্তিনিতে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী।