বিধানসভা ভোটের কাউন্টডাউন শুরু হতেই রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতেই ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেস শুরু করেছে এক অভিনব জনসংযোগ কর্মসূচি ‘চা-এর চুমুকে উন্নয়নের গল্প’। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রবিবার থেকে এই উদ্যোগের সূচনা হয় নুরপুর পঞ্চায়েতের দেওয়ানতলায়। এলাকাভিত্তিক এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃণমূল নেতারা ভোটের আগেই সরাসরি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে তাঁদের সমস্যা, অভাব-অভিযোগ ও আশঙ্কার কথা শুনছেন।
ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার দুই পঞ্চায়েত সমিতির ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৮টি এবং পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডে দু’টি করে মোট ৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী দুই মাস ধরে। মন্দির প্রাঙ্গণ, বাজারের চায়ের দোকান, পার্ক, টোটো বা বাসস্ট্যান্ড যে কোনও পরিচিত জায়গাতেই বসছে এই আড্ডা। সাধারণ মানুষ সেখানে চা খেতে খেতে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করছেন, জানাচ্ছেন নিজেদের সমস্যা। আলোচনায় উঠে এসেছে এসআইআর আতঙ্ক, চিকিৎসা পরিষেবার ঘাটতি থেকে শুরু করে নাগরিক অসুবিধার নানা প্রসঙ্গ। নেতৃত্ব জানিয়েছেন, প্রকৃত ভোটারদের নাম কোনওভাবেই বাদ পড়তে দেওয়া হবে না এবং আতঙ্কের বদলে মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনাই এই অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আরও এক দিক উন্মোচিত হয়েছে, পুরনো তৃণমূল কর্মী ও নেতাদের পুনরায় সক্রিয় করে তোলা। অবসরপ্রাপ্ত বা অসুস্থ নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা শোনারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, তরুণ প্রজন্মকে ‘আমি বাংলার ডিজিটাল যোদ্ধা’ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
চায়ের আড্ডায় রাখা হয়েছে একটি অভিযোগ বাক্সও, যেখানে মানুষ নিজের লিখিত অভিযোগ রেখে যেতে পারছেন। পাশাপাশি, সরাসরি যোগাযোগের জন্য ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার পর্যবেক্ষক শামিম আহমেদ, বিধায়ক পান্নালাল হালদার, ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরুময় গায়েন, মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী মনমোহিনী বিশ্বাসসহ একাধিক স্থানীয় নেতা-কর্মী। শামিম আহমেদ জানিয়েছেন, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই কর্মসূচির আয়োজন। এর মূল উদ্দেশ্য, এলাকার উন্নয়ন এবং মানুষের সমস্যা সরাসরি শোনা ও দ্রুত সমাধান করা।
