বৃহস্পতিবার সিকিম থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ২ টো ১৫ মিনিট আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের জন্য ‘নগর গ্যাস সরবরাহ’ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিবেশ-বান্ধব ওই প্রকল্পের ফলে উত্তরবঙ্গের প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন। শুধু তাই নয়, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যিনি তারপর দুপুর তিনটে নাগাদ আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে জনসভা করবেন।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ১,০১০ কোটি টাকার ‘নগর গ্যাস সরবরাহ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ২.৫ লাখের বেশি বাড়ি, ১০০-র বেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও কারখানায় পাইপবাহিত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। সেইসঙ্গে ১৯টির মতো সিএনজি স্টেশন তৈরিরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর সার্বিকভাবে সেই প্রকল্পের ফলে সস্তায়, ভরসাযোগ্য উপায়ে গ্যাস সরবরাহ করা যাবে।
আর সেইসবের মধ্যে আলিপুরদুয়ার থেকে যে ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দেবেন, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদী। তিনি বলেছেন, ‘গত এক দশকে এনডিএ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। একইসঙ্গে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি এবং অদক্ষ প্রশাসনের কারণে হাঁফিয়ে উঠেছেন।’

পালটা দিয়েছে তৃণমূলও। নাম না করে মোদীকে আক্রমণ শানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের তরফে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু পরিযায়ী পাখিরা বাংলায় মরশুমি সফর করছেন, তখন কেন একটি সহজ প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না: কেন এখনও বাংলার ১.৭ লাখ কোটি টাকার যে নায্য পাওনা রয়েছে, তা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার?’
এমনিতে মোদী যেখানে সভা করছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মোদী যেখানে জনসভা করছেন, তা চিকেনস নেক বা শিলিগুড়ি করিডর ঘেঁষা এলাকায়। আবার বিজেপি অভিযোগ তোলে যে অনুপ্রবেশের কারণে জনবিন্যাস পালটে যাচ্ছে। সেই বিষয়টি নিয়েও প্রধানমন্ত্রী মুখ খুলতে পারেন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। মুখ খুলতে পারেন অপারেশন সিঁদুর নিয়েও।