চিকেন নেকের কাছে বিমানঘাঁটি তৈরি হবে বাংলাদেশে?

Spread the love

চিকেন নেকের কাছে বাংলাদেশে বিমানঘাঁটি তৈরি হতে পারে বলে জল্পনা দীর্ঘদিনের। এরই মাঝে সম্প্রতি বাংলাদেশের সেই এলাকায় গিয়ে ঘুরে এসেছেন চিনা আধিকারিকরা। যা ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি বাংলাদেশের রংপুর ডিভিশনের লালমনিরহাটে চিনা আধিকারিকরা গিয়েছিলেন।

দাবি করা হচ্ছে, লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে চিন। সেই আবহে সেই এলাকা তদারকি করেন চিনা আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লালমনিরহাটে একটি বিমানঘাঁটি ছিল। দেশভাগের পরে পাকিস্তানি বায়ুসেনা এবং একাত্তরের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সেটি ব্যবহার করত। ২০১৯ সালে সেখানে বাংলাদেশ এ্যারোস্পেস এবং এভিয়েশন ইউনিভার্সিটিকে ক্যাম্পাস গড়তে জমি দেওয়া হয়। এখন সেখানেই নতুন বিমানঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছে ইউনুস সরকার।

গত মার্চ মাসে লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। যেখানে এই বিমানঘাঁটি গড়ে তোলার কথা ভাবা হচ্ছে, সেটি ভারত সীমান্ত থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এখানে বিমানঘাঁটি তৈরি হলে তা চিন বা পাকিস্তানের মতো কোনও দেশকে ব্যবহরের জন্যে বাংলাদেশ দেয় কি না, সেদিকে নজর রাখছেন গোয়েন্দারা।

এদিকে উত্তরবঙ্গে তিন দিন ধরে চলল ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ‘তিস্তা প্রহার’। শিলিগুড়ির অদূরে চিকেন নেক এলাকার আশেপাশেই এই মহড়া দেয় ভারতীয় সেনা, আর্টিলারি বাহিনী, বায়ুসেনা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আবহে বাংলাদেশ লাগোয়া পূর্ব সীমান্তে এই ‘তিস্তা প্রহার’ মহড়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, এই তিস্তা প্রহারে সেনার ইনফ্যানট্রি, আর্টিলারি, আর্মড কোর, আর্মি অ্যাভিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স এবং সিগনালস অংশগ্রহণ করেছিল। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের বহু কট্টরপন্থী নেতা চিকেন নেক দখল করে উত্তর পূর্ব ভারতকে সমতল থেকে আলাদা করার হুমকি দিয়েছেন। এই আবহে সেনার এই মহড়ায় ঢাকার বুকে কাঁপুনি ধরাতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *