সীমান্ত টপকে প্রেমে পড়ার আগে সাবধান হোন! বাংলাদেশি মহিলাদের বিয়ে করার আগে সাবধান হোন! বিদেশি বউ কেনার আগে সাবধান হোন! না হলে জেলযাত্রাও হতে পারে! নিজের দেশের নাগরিকদের কতকটা ঠিক এভাবেই সতর্ক করল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত চিনা দূতাবাস! কিন্তু, কী এমন হল যে চিনা পুরুষদের এভাবে বাংলাদেশি মহিলাদের বিয়ে করা থেকে সতর্ক থাকতে বলা হল?
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, গতকাল (রবিবার – ২৫ মে, ২০২৫) ঢাকায় অবস্থিত চিনা দূতাবাসের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতেই চিনা পুরুষদের আগুপিছু না ভেবে বাংলাদেশি মহিলাদের বিয়ে করা থেকে সাবধান করা হয়েছে। কারণ, তার নেপথ্যে থাকতে পারে মানবপাচারের মতো কোনও ঘটনা। এই বিষয়ে ইতিমধ্য়েই চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’ বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। চিনা সরকারি মাধ্যমের তথ্য অনুসারে – জনবিস্ফোরণ রুখতে দীর্ঘদিন চিনের কমিউনিস্ট সরকার দেশে ‘এক সন্তান নীতি’ মেনে চলেছে। কিন্তু, তাতে জনসংখ্য়া কমলেও সামগ্রিকভাবে যুব জনসংখ্যা কমেছে এবং প্রবীণদের সংখ্য়া বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ‘এক সন্তান নীতি’ থেকে বেরিয়ে এসে দম্পতিদের বেশি করে সন্তানের জন্ম দিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তাতে সমস্যা কিছুটা কমলেও গোল বেঁধেছে অন্যত্র।
তথ্য বলছে, ‘এক সন্তান নীতি’র গুঁতোয় ইতিমধ্যেই চিনে পুরুষ ও নারীর অনুপাত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে বিয়ে করার জন্য মেয়ে পাচ্ছেন না চিনা পুরুষরা। তাই তাঁরা ‘পেশাদার সংস্থা’র মাধ্যমে বিদেশ থেকে বউ ‘কিনছেন’! সোজা কথায় টাকার বিনিময়ে বিদেশি বিবাহযোগ্য়াদের হন্যে হয়ে খুঁজছেন চিনা পুরুষরা! আর, এখানেই পাতা হচ্ছে ফাঁদ। তথ্য বলছে, এই প্রেক্ষাপটে বহু বাংলাদেশি তরুণীকে চিনে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এই বাংলাদেশি তরুণীদের আসলে ভুল বুঝিয়ে চিনে পাচার করছে মানবপাচারের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন দুষ্ট চক্র। চিনা পুরুষরা যাতে বাংলাদেশি মহিলাদের প্রতি আকৃষ্ট হন, তার জন্য সমাজমাধ্যমে ‘সীমান্ত পেরিয়ে প্রেম’ নিয়ে দেদার প্রচারও চলছে। কিন্তু, আসলে এর পুরোটাই এক ভয়ঙ্কর অপরাধ। এবং এভাবে বাংলাদেশি বা অন্য কোনও বিদেশিনীকে বিয়ে করাটা চিনে বেআইনি বলে গণ্য হচ্ছে। ফলত, যে পুরুষটি বিয়ে করছেন, তাঁকে হাজতবাসও করতে হতে পারে। আর, সেই কারণেই চিনা পুরুষদের সতর্ক করছে প্রশাসন!