চিন থেকে কী মিলছে! পর্দাফাঁস করল US ইন্টেল রিপোর্ট

Spread the love

পাকিস্তানের ‘সব মরশুমের বন্ধু’ চিন, কীভাবে ইসলামাবাদকে অস্ত্রভাণ্ডার শক্তিশালী করতে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছে, তার গোপন তথ্য খোলসা করে দিল মার্কিন রিপোর্ট। এক মার্কিন ইন্টেল (গোয়েন্দা) রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে পাকিস্তানের অস্ত্রশক্তি ভাণ্ডারে আরও শক্তি যোগাতে চিনের সমর্থনের তথ্য। এছাড়াও পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা আপাতত কোন কোন বিষয়গুলিকে পাখির চোখ করে নিজের অস্ত্রাগার জোরালো করতে চাইছে, তাও মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট ফাঁস করেছে।

‘দ্য ওয়ার্ল্ড থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট ২০২৫’ শীর্ষক ওই রিপোর্টে মূলত, মূল্যায়ন ভিত্তিক। ট্রাম্প প্রশাসনের এই রিপোর্টটি এসেছে সদ্য ভারত ও পাকিস্তানের ১০ মের সংঘাতের পরই। ইউএস ডিফেন্স ইন্টালিজেন্স-র (মার্কিন প্রতিরক্ষা বিষয়ক গোয়েন্দা) রিপোর্ট বলছে,’আগামী বছরে পাকিস্তানের সেনার সবচেয়ে বশি অগ্রাধিকার থাকবে, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সীমান্তপারের সংঘাত ঘিরে, তেহরিক-এ-তালিবানের বেড়ে চলা হামলা ঘিরে, বালোচ জাতিয়তাবাদীদের উগ্রপন্থা, সন্ত্রাস মোকাবিলার চেষ্টা এবং পরমাণু অস্ত্রের আধুনিকীকরণের মতো বিষয়ে।’ ওই মার্কিন তথ্য বলছে,’ গত বছর পাকিস্তানের দৈনিক যে সমস্ত অপারেশন চলেছে তাতে ২,৫০০ উগ্রপন্থী মারা গিয়েছে শুধু ২০২৪ সালেই।’ রিপোর্ট উল্লেখ করেছে, পাকিস্তান নিজের পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার আরও উন্নত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে। সেক্ষেত্রে তার পরমাণু উপাদান, কমান্ড ও কন্ট্রোল সিস্টেম ঘিরে কড়া নিরাপত্তা বজায় রেখেছে পাক শিবির। রিপোর্ট বলছে, গণ-বিধ্বংসী অস্ত্র (ওয়েপনস অফ মাস ডেসট্রাকশন) পাকিস্তান পাচ্ছে বিদেশের মাটি থেকে।

ট্রাম্পের দেশের ওই গোয়েন্দা রিপোর্ট লিখছে,’পাকিস্তান মূলত চিনের অর্থনৈতিক ও সামরিক অনুদানের গ্রহীতা, এবং পাকিস্তানি বাহিনী প্রতি বছর চিনের পিএলএ-র সাথে একাধিক সম্মিলিত সামরিক মহড়া পরিচালনা করে।’ প্রসঙ্গত, সদ্য ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’র জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তান, ব্যবহার করেছে তিনের পিএল-১৫, জেএফ-১৭, জে-১০ সি যুদ্ধ বিমানগুলি। মার্কিন ডিআইএ-র ওই রিপোর্ট জানিয়েছে যে পাকিস্তানের গণবিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) কর্মসূচিতে সহায়তা দিচ্ছে বিদেশি উপকরণ এবং প্রযুক্তি। রিপোর্ট দাবি করছে, তা পাকিস্তানে আসছে ‘খুব সম্ভবত প্রাথমিকভাবে চিনের সরবরাহকারীদের কাছ থেকে এবং কখনও কখনও হংকং, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ট্রান্সশিপ করা হয়।’ উল্লেখ্য, শুধু ভারত নয়। পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত পারের সন্ত্রাস ইস্যুতে সংঘাত দেথা যায় ইরানেরও। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে এয়ারস্ট্রাইক চালায়। পরবর্তীতে দুই দেশ উচ্চপর্যায়ের বৈঠকেও বসে। আর এই বিষয়টিও এড়িয়ে যায়নি মার্কিন ওই রিপোর্ট থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *