চুঁচুড়ায় গেরুয়া শিবিরে ধস! TMC-তে যোগ বহু BJP কর্মীর

Spread the love

কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে এখন উত্তপ্ত গোটা বাংলা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিক্ষোভ প্রতিবাদ। হুগলির চুঁচুড়াতেও দেখা গিয়েছে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ঠিক সেই আবহেই বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। কোদালিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বুথ থেকে একঝাঁক কর্মী, প্রাক্তন প্রার্থী ও সক্রিয় সমর্থক দল ছেড়ে এবার তৃণমূলে নাম লেখালেন। মোট ৭০ জন বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার।

জানা যাচ্ছে, এই কোদালিয়া অঞ্চল এতদিন বিজেপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। পঞ্চায়েত স্তর থেকে শুরু করে বিধানসভা পর্যন্ত ভোটে ভালো ফল করেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু এবার সেখানে তৃণমূলের তরফে কৌশলী পদক্ষেপে দেখা গেল ভিন্ন ছবি। নতুন যোগ দেওয়া কর্মীদের অনেকেই বলছেন, একসময় তাঁরা তৃণমূলেই ছিলেন। নানা কারণে বিজেপিতে গেলেও আদর্শগতভাবে তৃণমূলকেই মনেপ্রাণে মানতেন। তাই ফের নিজের ঘরেই ফিরে এলেন তাঁরা। তৃণমূল সূত্রের খবর, এদিন একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়া তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তাঁর হাত ধরেই এই সমস্ত বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার এই যোগদানকে বড়সড় বার্তা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর কথায়, মানুষ উন্নয়ন চায়। তাই যারা ভুল বুঝে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, আজ তাঁরা ফিরে আসছেন। তিনি জানান, তৃণমূলই মানুষের দল এই সত্যটাই আজ স্পষ্ট হয়ে গেল।

অন্যদিকে, বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, কয়েকজন স্বার্থের কারণে দল বদলেছে। এতে দলের সংগঠন দুর্বল হবে না। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, এই দলবদলের মধ্য দিয়ে কোদালিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে রাজনৈতিক পালাবদলের সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে। নির্বাচনের আগে এই ঘটনা তৃণমূলকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করছেন অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *