বৃহস্পতিবার ভোরে উত্তরপ্রদেশে বেআইনি ধর্মান্তকরণে অভিযুক্ত জালালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুর বাবার একাধিক সম্পত্তিতে বড়সড় অভিযান চালায় ইডি। সাতটি দল বলরামপুর জেলার উত্তরোলা এবং মুম্বইয়ের দুটি স্থানে অভিযান চালিয়েছিল। দলগুলি ছাঙ্গুর বাবার অধীনে কাজ করা বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এর আগে গত ৫ জুলাই এটিএস ৫ জুলাই ছাঙ্গুর বাবা এবং তার সহযোগী নীতু ওরফে নাসরিনকে গ্রেফতার করেছিল। সেই সময় জানা যায়, এক বছরে ১০০ কোটি টাকার লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত এই ছাঙ্গুর বাবা। তিন দিন পর দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে ইডি। বলরামপুর পুলিশ ও প্রশাসনের পাশাপাশি এটিএসের কাছ থেকে অনেক তথ্য নিয়েছে ইডি। বেশ কিছু তথ্য ও নথি হাতে পেয়েই তল্লাশি চালায় ইডি।
উত্তরপ্রদেশে ধর্মান্তরণ চক্র চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে জামালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুর বাবা। বলরামপুর জেলার বাসিন্দা জামালউদ্দিন এক সময়ে সাইকেলে করে আংটি এবং তাবিজ বিক্রি করত। বর্তমানে তার ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০৬ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, গত ৫ জুলাই লখনউয়ে এক হোটেল থেকে ছাঙ্গুর বাবা ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নীতু ওরফে নাসরিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরেই জামালউদ্দিনের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মেলে। মূলত পশ্চিম এশিয়া থেকে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকত বলে দাবি করা হচ্ছে।

উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন স্কোয়াড (এটিএস) তদন্ত করে দেখছে যে, জামালউদ্দিনের সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র আছে কিনা। ইউপি স্পেশাল টাস্ক ফোর্সও এই মামলার তদন্ত করছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলরামপুরের স্থানীয় পুলিশ। এছাড়া এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও ছাঙ্গুর বাবার আয়-ব্যয়ের হিসেব বের করার জন্য একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ধর্মান্তরণের জন্য দরিদ্র, অসহায় শ্রমিক, দুর্বল শ্রেণির এবং বিধবা মহিলাদের প্রলোভন, আর্থিক সাহায্য, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করা হত। অনেক সময় ভয় দেখিয়েও ধর্মান্তরণে বাধ্য করা হত। এই আবহে কে কে ছাঙ্গুর বাবাকে টাকা পাঠিয়েছিল, কত টাকা পাঠিয়েছিল এবং কী কারণে পাঠিয়েছিল, সমস্ত দিক তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।