সম্প্রতি কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত হয় টিএমসিপি নেতা মনোজিৎ মিশ্র। তারপর মনোজিতের একের পর এক একাধিক কাণ্ড সামনে এসেছে। আর এবার প্রকাশ্যে যৌন হেনস্থার অভিযোগ টিএমসিপি রাজ্য সহ সভাপতি সৌভিক রায়ের বিরুদ্ধে। এই আবহে সৌভিক রায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দল। তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের জবাবে পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৩ তারিখের মধ্যে এই জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হাওড়ার ব্যাঁটরার নরসিংহ কলেজের র্যাগিংয়ের ভিডিয়ো দেখিয়ে এসএফআই অভিযোগ করছিল, জোর করে প্যান্ট খুলে পড়ুয়াদের যৌনাঙ্গ দেখে বিকৃত সুখ পেতেন সৌভিক রায়। এই নিয়ে টিএমসিপির নেতৃত্বকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে তারপরও নাকি দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত সৌভিক এখনও নিজের পদেই বহাল ছিলেন।তবে এবার দলীয় কর্মসূচি থেকে দূরে থাকতে হয়েছে সৌভিক রায়কে। এমনকী এখন দলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে হাওড়ার এই দাপুটে ছাত্র নেতাকে। এদিকে সৌভিকের জবাবে সন্তুষ্ট না হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে শোকজ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, সৌভিক রায়কে নিয়ে ২০২৩ সালে হাওড়া জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদে সভাপতিকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেই চিঠির একটি কপি পাঠানো হয়েছিল টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকেও। এর পাশাপাশি অভিযোগপত্রের কপি পাঠানো হয় ব্যাঁটরা থানা, অ্যান্টি র্যাগিং কমিশনেও। তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে। এখনও নিজের পদেই বহাল সৌভিক।সৌভিকের যৌন হেনস্থার উদাহরণ তুলে ধরে এক পড়ুয়া সম্প্রতি এক বাংলা খবরের চ্যানেলকে বলেন, ‘রাত ৮টার পর সবাই যখন বেরিয়ে যেত, তখন ইউনিয়ন রুমে থাকতে বলা হত। আমি আর আমার কয়েকজন বন্ধুকে বলছিল, প্যান্ট খুলতে। আমাদের যৌনাঙ্গ দেখত, ভিডিয়ো করাত, ছ্যাঁকা দেওয়া হত, প্যান্টে জল ফেলে দেওয়া হত। প্রতিবছর কোনও না কোনও ছেলেকে ধরে এই সব করত। আমরা এটা নিয়ে তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে জানিয়ে ছিলাম। কয়েকজন দাদার সাহায্যে জানাই।’