ছিটমহলে এসআইআর নিয়ে বিপত্তি! ফর্ম নিতে অস্বীকার পোয়াতুরকুঠির বাসিন্দাদের

Spread the love

এসআইআরের প্রথম দিনেই বিপাকে পড়ল প্রশাসন। দিনহাটার সাহেবগঞ্জ থানার অন্তর্গত প্রাক্তন বাংলাদেশি ছিটমহল পোয়াতুরকুঠিতে মঙ্গলবার শুরু হতেই বাধার মুখে পড়লেন বিএলওরা। অভিযোগ, ইনিউমারেশন ফর্ম নিয়ে গ্রামে ঢুকলেও একটিও ফর্ম হাতে নেননি বাসিন্দারা। ফর্ম নিতে অস্বীকার করে বিএলওদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় গ্রাম থেকে।

গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১ অগস্ট ছিটমহল বিনিময়ের পর তাঁরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই সেই সময়ে তাঁদের নাগরিকত্ব স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু এসআইআরের ফর্মে সেই তথ্য উল্লেখ করার কোনও ঘরই নেই। তাই সাদা ফর্ম জমা দিলে তা নাগরিকত্ব নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। এই আশঙ্কায় ফর্ম নিতে রাজি নন তাঁরা। স্থানীয়দের হুঁশিয়ারি, যদি এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বিশেষ ঘোষণা না করে, তবে তাঁরা জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করবেন। পোয়াতুরকুঠির বিএলও বিপুল মোদক বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই ইনিউমারেশন ফর্ম নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়েছিলেন। কিন্তু বাসিন্দারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ফর্ম নেবেন না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, গ্রামটিতে মোট ভোটার প্রায় সতেরোশো, দুটি বুথ রয়েছে এবং বেশিরভাগই প্রাক্তন ছিটমহলবাসী। এদিকে, রাজ্যের অন্য প্রান্তে কিছু জায়গায় শুরুটা মোটামুটি নির্বিঘ্ন হলেও কোথাও ফর্মের অভাবে, কোথাও দলবাজি, কোথাও আবার বিএলওদের মারধরের অভিযোগে প্রথম দিনের কাজ বিঘ্নিত হয়েছে। তবে শিলিগুড়িতে দিনটি কেটেছে তুলনামূলক শান্তভাবে। শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা কেন্দ্রে বিএলওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলির কাজ করেন। মহকুমা শাসক বিশাল রুহেলা এবং ইআরও বিপ্লব চক্রবর্তী নিজেরাই ময়দানে নেমে তদারকি করেন এই কর্মসূচি। যদিও কয়েকজন বিএলও এখনও পরিচয়পত্র পাননি বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। কেউ কেউ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কাজে না যাওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন। দার্জিলিং জেলা প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, পাহাড় ও সমতলে এসআইআরের কাজ সুষ্ঠুভাবে শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *