ছেলের মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ার কাঠগড়ায় মা রিঙ্কু

Spread the love

গত মাসেই বিয়ে করেছেন রিঙ্কু মজুমদার(Rinku Majumder) এবং দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। বিয়ের মাস ঘোরার আগেই তাঁদের জীবন নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের ২৫ দিনের মাথায় মৃত্যু হয়েছে রিঙ্কুর ছেলে সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতম দাশগুপ্তর। আর তারপরই দিলীপ জায়াকে আক্রমণ করছে নেটিজেনরা। এবার এই অবস্থায় রিঙ্কুর পাশে দাঁড়ালেন দোলন রায়(Dolon Roy)।

কী ঘটেছে?

১৩ মে প্রয়াত হন রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয়। প্রাথমিক ভাবে রহস্যমৃত্যু মনে হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে এটি ফাউল প্লে বা আত্মহত্যা নয়। কিন্তু তাও নেটিজেনদের একাংশের ধারণা রিঙ্কু মজুমদারের দ্বিতীয় বিয়ে নাকি ছেলে মেনে নিতে পারেনি। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের জন্যই নাকি মৃত্যু হয়েছে তাঁর। একজন সদ্য সন্তানহারা মহিলাকে এভাবে আক্রমণ করায় সেটার বিরোধিতা করেছেন অভিনেত্রী দোলন রায়।

এদিন রিঙ্কু মজুমদারের পাশে দাঁড়িয়ে দোলন রায় আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, ‘মাত্র ২৫ দিন আগেই বিয়েটা হয়েছিল তো তাই বিষয়টা সেনসিটিভ হয়ে গিয়েছে। তার উপর আবার মহিলা। মায়ের বিয়ের পরই ছেলের মৃত্যু হওয়ায় সবাই মনে করছেন যে মায়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ছেলে খেতে না পেয়ে মরে গিয়েছে। এটা ঠিক নয়, এভাবে দুইয়ে দুইয়ে চার করা ঠিক নয়। কাকতালীয় ঘটনা বলেই শোনা গিয়েছে। বিয়েটা না হলেও তো এই ঘটনা ঘটতে পারত। বিয়ে করেছেন বলেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে, এমনটা তো নয়।’

এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো, দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম এবং লিভ ইন করার পর ২০২০ সালে যখন দীপঙ্কর দে-কে বিয়ে করেন দোলন রায় তার একদিনের মাথাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বর্ষীয়ান অভিনেতা। তাঁকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। সেই সময় দোলন রায়কেও মানুষ একই ভাবে আক্রমণ করেছিল।

এদিন দোলন রায় রিঙ্কু মজুমদারের ছেলের মৃত্যু প্রশ্নে আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে মা ঈশ্বরের মতো আসলে। মা আর চার পাঁচটা সাধারণ মানুষের থেকে অনেক উপরে। মায়েদের ভালো থাকা, খারাপ থাকা বা চাহিদাকে সন্তানরা মূল্য দিতে চায় না। অথচ ছেলেরা যখন বিয়ে করে মাকে একা ফেলে রেখে চলে যায় তখন কেউ কোনও কথা বলে না। মা করলেই দোষ। কই তখন তো কোনও প্রতিবাদ দেখি না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *