জখম পবনদীপকে দেখতে না গিয়ে প্রশ্নের মুখে অরুণিতা

Spread the love

কয়েকদিন আগেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েন পবনদীপ রাজন। ইন্ডিয়ান আইডল ১২-র বিজেতা ছিলেন উত্তরাখণ্ডের ছেলে পবনদীপ। অসাধারণ গায়িকি দিয়ে সাধারণের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। সঙ্গে সেবারের সিজনে, আরও যে বিষয়টা নিয়ে চর্চা হয়েছিল তা হল পবনদীপ রাজন ও অরুণিতা কাঞ্জিলালের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা। খবর ছিল, বনগাঁর মেয়ে অরুণিতার সঙ্গে ডেটিং করছেন পবনদীপ। এমনকী, সিজন শেষ হয়ে যাওয়ার পর, বিগত বছরখানেক ধরে স্টেজ শো হোক বা রিয়েলিটি শো, দুজনে সর্বত্র একসঙ্গেই গিয়েছেন।

অর্থাৎ, প্রেম থাক বা না থাক, বন্ধুত্ব একটা আছে বা ছিলই! তবে পবনদীপের দুর্ঘটনা, মারাত্মক জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে, অরুণিতার নীরব থাকা, তাঁকে অনবরত ফেলেছে প্রশ্নের মুখে। পবনদীপ-অরুণিতাকে নিয়ে তৈরি হওয়া ফ্যানপেজগুলিতেও তার ছাপ পড়েছে। রীতিমতো ট্রোল করা হচ্ছে বাংলার মেয়েকে। ‘স্বার্থপর’ থেকে শুরু করে ‘অহংকারী’, নানা ধরনের কুকথায় ভরে যাচ্ছে কমেন্ট বক্স।

পবনদীপের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে গিয়েছেন অনেকেই। সেই ছবিগুলি ফ্যানপেজ থেকে আপলোড করা হতেই কমেন্ট বক্সে উঠছে অরুণিতা প্রসঙ্গ। একজন লিখেছেন, ‘অরুণিতা কোথায়?’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘এরকম ধরনের অকৃতজ্ঞ মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখাই ভালো। একটা সময় পবনদীপই আগলে রাখল। প্রায় চার বছর ধরে একসঙ্গে থাকল। আর এখন হাসপাতালে গেল না?’ তৃতীয় একটি কমেন্টে লেখা হয়, ‘স্পষ্ট হয়ে গেল, অরুণিতা ঠিক কেমন মানুষ। ভাবতে পারিনি মানুষ এরকম হতে পারে।’, অন্য একজন লেখেন, ‘ছিঃ অরুণিতা। তোমার লজ্জা হওয়া উচিত।’

এর আগে (দুর্ঘটনার পরপরই) অরুণিতার ম্যানেজার আনন্দবাজারকে পবনদীপের দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানান যে, ‘পবনদীপ কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। তাই বাকিদের মতো অরুণিতাও সংবাদমাধ্যম থেকে প্রিয় বন্ধুর শারীরিক অবস্থার খবরাখবর নিচ্ছেন।’ সঙ্গে আরও জানানো হয় যে, রেকর্ডিংয়ে ব্যস্ত অরুণিতা। তাই এখনও দেখতে যেতে পারেননি। তবে ইশ্বরের কাছে কামনা করছেন, যাতে বন্ধু দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। সঙ্গে পবনদীপের পরিবারের সঙ্গেও অরুণিতা তখনও যোগযোগ করেননি বলেই জানানো হয়েছিল। গায়িকার টিমের দবি ছিল, এই কঠিন সময়ে আর বিরক্ত করতে চাননি তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *