ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর দ্বিতীয় দিনও সীমান্তে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীও। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর এয়ার স্ট্রাইকের পর যেন হতাশায় ভুগছে পাকিস্তান। এই আবহে তারা নিরীহ কাশ্মীরিদের টার্গেট করছে। ভারতও যোগ্য জবাব দিচ্ছে। তবে ভারতীয় নাগরিকদের মৃত্যুমিছিল থামানো যাচ্ছে না।
আজ ভোররাতে জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি এবং আখনুর অঞ্চলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোস্টগুলি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়া নির্বিচারে শেলিং চালিয়েছে তারা। যার জেরে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে ৭ মে পাকিস্তানি শেলিংয়ের জেরে ভারতের ১৪ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও এক ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছেন। জঙ্গিদের জন্যে প্রাণ কেঁদে ওঠা পাকিস্তান সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরাচ্ছে।
এদিকে এই সবের মাঝে ভারত পাকিস্তানি হামলার প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। জল, স্থল ও আকাশ তিন জায়গাতেই সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। ভারতের নিরাপত্তার জন্যে বহুস্তরীয় বিমান প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক সক্রিয় করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরব সাগরে যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ভারতীয় সেনা।

কয়েক বছর আগে যখন পুলওয়ামার প্রত্যাঘাতে ভারত বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করেছিল, তখন পাকিস্তানও তৎক্ষণাৎ পাল্টা অভিযান শুরু করেছিল ভারতের বিরুদ্ধে। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। অতীতের যেকোনও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের থেকে এবারের এই অভিযান বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। পাকিস্তান মিথ্যা কথা বলেও এই হামলার তথ্য ধামাচাপা দিতে পারত না। তাই বিষয়টি তারা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছে। সঙ্গে ‘জবাব’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। যদিও এই দফায় তারা জানে, ভারত আর ‘ছেড়ে দেবে না’।
এদিকে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তান পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের জুজু দেখিয়ে চলেছে ভারতকে। তা সত্ত্বেও ভারত তাদের ঘরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। তাই এটা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তানের ফাঁকা আওয়াজকে ভারত ভয় পাচ্ছে না। তবে ভারত সতর্ক আছে। রাশিয়ার এস-৪০০ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম থেকে শুরু করে আকাশসীমা সুরক্ষিত রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করে রেখেছে ভারত।