‘জঙ্গিদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্ত্যেষ্টী বোধহয় পাকিস্তানে প্রচলিত!’

Spread the love

গত পরশু মধ্যরাতে পাকিস্তানের বুকে জঙ্গি শিবিরগুলিতে ‘নিয়ন্ত্রিত’ হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। একের পর এক পাকিস্তানি জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে যায়। তার খানিক বাদেই পাকিস্তান দাবি করে, তাদের দেশের নাগরিকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। বহু মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করে, সেদেশে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’এ নিহত জঙ্গির অন্ত্যেষ্টীতে হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানের বহু সেনা সদস্য। ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লির বুকে ফের একবার সন্ত্রাস ইস্যুতে ইসলামাবাদের মুখোশ খুলে ছেড়ে দিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি।

উল্লেখ্য, ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাতে, পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ভারতের ১৫ টি ভৌগলিক স্থানে হামলার চেষ্টা হয়েছে। ভারতের দাবি, দেশের ১৫ সেনাস্থলে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। দিল্লি সাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানের চেষ্টা নিমেষে ব্যর্থ করেছে ভারত। শুধু তাই নয়। পাকিস্তানের ভিতরে একাধিক জায়গায় সেদেশের ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ বা আকাশপথে প্রতিরক্ষাকে ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত। আর তা করা হয়েছে ড্রোনের মাধ্যমে। এদিন দিল্লিতে এক প্রেস ব্রিফে একথা জানান ভারতীয় সেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। তাঁরা সেনার পদক্ষেপ নিয়ে সকলকে ভারতের অবস্থান অবহিত করেন। এরপর বক্তব্য রাখেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি।

পাকিস্তানের তরফে আসা বেশ কিছু গুজব নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন বিক্রম মিশ্রি। তিনি জানান, নীলম-ঝিলম প্রজেক্টকে টার্গেট করা হয়েছে বলে ভারতের বিরুদ্ধে যে গুজব রটছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে সেই গুজবকে হাতিয়ার করে যদি পাকিস্তান পাল্টা ভারতে এই ধরনের নির্মাণে হামলা করে তাহলে তার ফল ভোগ করতে হবে পাকিস্তানকে। তিনি নানান কথা প্রসঙ্গে তুলে ধরেন এক ছবি। ছবিতে, পাকিস্তানে এক ব্যক্তির অন্ত্যেষ্টীর দৃশ্য দেখা যায়। বিক্রম মিশ্রি বলেন, ভারত শুধুমাত্র জঙ্গি শিবিরকেই টার্গেট করেছে। এরই সঙ্গে তিনি বলেন,’ যদি কেবল সাধারণ নাগরিকই মারা গিয়েছেন, তাহলে আমি ভাবছি এই ছবিটি আপনাদের সকলের কাছে আসলে কী বার্তা পাঠাচ্ছে! এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করার মতো… এটাও অদ্ভুত যে নাগরিকদের শেষকৃত্য পাকিস্তানি পতাকায় মুড়িয়ে এবং রাষ্ট্রীয় সম্মানে তা সম্পন্ন করা হয়!’ কটাক্ষবাণ শানিয়ে মিশ্রি বলেন,’ আমাদের মতে, এই.. নিহত ব্যক্তিরা সন্ত্রাসী ছিল, সন্ত্রাসীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য করা বোধ হয় পাকিস্তানে প্রচলিত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *