জয়জিৎ-শ্রেয়ার ২০ বছরের বিয়ে ভাঙল? ডিভোর্সের পথে দম্পতি?

Spread the love

টলিউডে যেন বিয়ে ভাঙার জোয়ার লেগেছে। একাধিক তারকার বিচ্ছেদের খবর চারপাশে। এবার কিসেই তালিকায় যোগ হল আরও দুটো নাম, জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী শ্রেয়ার। অবশ্য, বিগত কয়েকমাসে একাধিকবার এমন গুঞ্জন রটেছে টলিপাড়ায়। ক্লাস টুয়েলভ পাশ করল ছেলে, সেই খবর বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগও করে নেন অভিনেতা। এরই মাঝে বিয়ে ভাঙার খবরে, বেশ চমকাল নেটপাড়া।

শুরুটা হয় ফেসবুকের কিছু পোস্ট ঘিরে। যেখানে দেখা যায় এই গরমে একটু ঠান্ডা উপভোগ করতে, সপরিবারের নর্থ বেঙ্গলে অভিনেতা। অবশ্য সপরিবারে বললে ভুল হবে, কারণ বউ শ্রেয়া মিসিং। জয়জিতের সঙ্গে আছে ছেলে ও মা-বাবা। ব্যস, ফের প্রশ্নবাণ শুরু। কেন এলেন না শ্রেয়া? তাহলে কি সত্যিই ছাদ হল আলাদা?

তবে এসব ডিভোর্সের খবর ফুৎকারে ওড়ালেন জয়জিৎ। আজকালকে বললেন, ‘আগেও নানান ভুল খবর আমাকে নিয়ে ছড়ানো হয়েছে, এবারও সেটাই হচ্ছে। আমার আর শ্রেয়ার মধ্যে মোটেও বাড়েনি দূরত্ব।’ তাহলে শ্রেয়া ঘুরতে গেলেন না কেন? জয়জিৎ জানিয়েছেন, নিজের পেশাগত জীবনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন শ্রেয়া। তাই যোগ দিতে পারেননি পরিবারকে। সঙ্গে জয়জিৎ আরও জানালেন যে, ছেলে যশোজিতের পড়াশোনা নিয়ে অত্যন্ত ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।

গতকালই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জয়জিৎ জানান, যশোজিৎ আইএসসি অর্থাৎ ক্লাস টুুয়েলভে দুর্দান্ত ফল করেছে। অভিনেতা ফেসবুকে লেখেন, ‘আইএসসি (ISC)-তে দারুণ ফল… আশীর্বাদ করুন যেন আগামীতে ভালো মানুষ হয়ে ওঠে’।

২০ বছরের দাম্পত্য জয়জিৎ আর শ্রেয়ার। একাধিকবার দিদি নম্বর ১-এ এসে বরের নামে শ্রেয়া ভুরিভুরি অভিযোগ করেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। যদিও সেসবই মজার ছলে। আর পাঁচটা স্বামী-স্ত্রীর মতোই, খারাপ-ভালোয় সংসার, সঙ্গে অনেকটা ভালোবাসা দিয়ে মোড়া। অভিনেতা ডিভোর্সের খবর নাকচ করায়, নিঃসন্দেহে হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে তাঁর অনুরগীরা।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে আরজি কর নিয়ে যখন প্রতিবাদে সামিল গোটা রাজ্য, টলিউডের অন্দরের নানা যৌন হেনস্থার অভিযোগে মুখর শিল্পীরা, তখন আচমকাই ‘আমি ঝুমা’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অভিযোগ আনা হয়েছিল জয়জিতের উপরে। সেই সময়ও জয়জিৎ জানিয়েছিলেন, কেউ বা কারা তাঁর নাম খারাপ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সেই ঘটনার পর থেকেই, বারংবার ডিভোর্সের খবরও চাউর হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *