জাগছে ইরানের ‘স্লিপার সেল’? সেই জল্পনার মাঝেই আমেরিকার অ্যালার্ট জারি

Spread the love

সদ্য ইরানের ৩ পরমাণু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন মুলুক থেকে ৩৭ ঘণ্টা সফর করে বোমারু বিমান বি-২ হামলা চালায় ইরানের এসফাহান, ফরডো, নাতানজের পরমাণু কেন্দ্রে। পাল্টা হুঙ্কার গিয়েছে ইরানের তরফেও। এরই মাঝে আমেরিকার স্বরাষ্ট্র দফতর (ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড)র তরফে নাগরিকদের প্রতি অ্যালার্ড জারি করা হয়েছে। এক নোটিসে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে মার্কিনিদের।

ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে জারি করা ওই নোটিসে বলা হয়েছে,’ চলমান ইরানের সঙ্গে সংঘাত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হুমকির পরিবেশ তৈরি করছে। ইরানপন্থী হ্যাকারদের দ্বারা মার্কিন নেটওয়ার্কগুলির বিরুদ্ধে নিচু-স্তরের সাইবার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে এবং ইরান সরকারের সাথে যুক্ত সাইবার সংক্রান্ত কর্মীরা মার্কিন নেটওয়ার্কগুলির বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করতে পারে।’ এখানেই শেষ নয়। বড় কোনও আক্রমণের আশঙ্কা করছে আমেরিকা? সেদেশের প্রশাসনের তরফে জারি করা নোটিস বলছে,ইরান দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি করে রেখেছে, মার্কিন সরকারি অফিসারদের টার্গেট করার, এক্ষেত্রে ২০২০ সালে এক ইরানি সেনা কমান্ডারের মৃত্যুর জন্য আমেরিকাকে দায়ী করে, তারা এটি করার চেষ্টা করছে বলে দাবি আমেরিকার। এই বার্তায় আমেরিকা বলছে,’ যদি ইরানি নেতৃত্ব স্বদেশের লক্ষ্যবস্তুগুলির বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক সহিংসতার আহ্বান জানিয়ে একটি ধর্মীয় রায় জারি করে, তাহলে স্বদেশের সহিংস চরমপন্থীদের স্বাধীনভাবে সংঘাতের প্রতিক্রিয়ায় সহিংসতার দিকে ঝুঁকে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।’এক্ষেত্রে আমেরিকা তার নিজের মাটিতে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে বলেও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে। নোটিসে বলা হচ্ছে, ‘সাম্প্রতিক একাধিক হোমল্যান্ড-সন্ত্রাসী হামলা ইহুদি-বিরোধী বা ইসরায়েল-বিরোধী মনোভাব দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে।’ সেক্ষেত্রে আমেরিকার আশঙ্কা সেদেশে নিবাসীদের বিরুদ্ধে কোনও ‘বাড়তি হামলার ছক’ কষা হতে পারে।

ইরানের ‘স্লিপার সেল’ নিয়ে জল্পনা:-

সদ্য এক মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমি গোয়েন্দাদের মতে ইরানে মার্কিন হানার পর আগ্রাসী হয়ে পড়েছে তেহরান। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা করছেন, বহু পশ্চিমী দেশে ইরানের স্লিপার সেল জেগে উঠতে পারে। যারা সক্রিয় হওয়ার জন্য এবার চেষ্টা করবে। ‘দ্য সান’ পত্রিকায় হেনরি জ্যাকসন লিখছেন, স্লিপার সেলের সদস্যরা ‘ আমাদের মধ্যেই রয়েছে…। তাদের কাছে সিগন্যাল গেলেই, তারা জানে কী করতে হবে।’ ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’র রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ইউরোপ ও আমেরিকা আশঙ্কা করছে, ইরানে মার্কিন হানার পর, সেদেশ সন্ত্রাসের পথ ধরে পাল্টা আঘাত করতে পারে। এক্ষেত্রে ইরানের ‘ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস’র সাপোর্ট গ্রুপ হামাস বা হেজবোল্লা ইতিমধ্যেউ জঙ্গি শিবির হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমি বিশ্বে থাকা ইরানের ‘স্লিপার সেল’কে দিয়েই সেদেশ সম্ভবত সোজাসুজি অ্যাকশন নামতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *